হস্টেলের বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় দীর্ঘদিন আগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। তার উপরে চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে, হস্টেলের ছাদ ভেঙে পড়েছে। শৌচাগার পরিষ্কার করা ও হস্টেল চত্বর ঝাঁট দেওয়ার লোক নেই। হস্টেলের নানারকম অব্যবস্থা সম্পর্কে অধ্যক্ষকে জানিয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের ডেকেছিলেন রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ ও পড়ুয়ারা উপস্থিত থাকলেও ছাত্রসংসদ ও পরিচালন সমিতির প্রতিনিধিরা অনুপস্থিত ছিলেন। |
ফলে সভা ভেস্তে যায়। এর প্রতিবাদে পড়ুয়ারা প্রায় ১ ঘণ্টা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন। অধ্যক্ষ বলেন, “হস্টেল কলেজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ইউজিসি যে টাকা দেয় তাতে হস্টেল গ্রান্ট থাকে না। দীর্ঘদিন ধরে হস্টেল সুপার, সরকারি কর্মী নেই। হস্টেলে থাকার জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে ভর্তির টাকা নেওয়া হয়। প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল মেটানোর দায়িত্ব আবাসিকদের।” তাঁর দাবি, “হস্টেল নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার জন্য পরিচালন সমিতি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। সাড়া মেলেনি। তাই সমস্যা মেটানোর জন্য নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে সভা ডেকেছিলাম। ভেস্তে যায়। তবে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালাব।”
অন্য দিকে, এলাকার ছেলেমেয়েদের ভর্তি করার দাবিতে সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অবস্থান বিক্ষোভ করল ছাত্র পরিষদ। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম মণ্ডল বলেন, “ছাত্রদের দাবির কথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জানিয়েছি।” |