মজে যাওয়া কালভার্ট সংস্কার হয়নি। বৃষ্টি হলেই দুর্গাপুর রেল বস্তিতে প্রায় কুড়িটি বাড়িতে জল ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বৃহস্পতিবার বর্ষণের জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে এলাকা। বাড়িতে হাঁটুজল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন বাসিন্দারা। জল ঢুকে যায় আশপাশের দোকানেও। এলাকার কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের আশ্বাস, স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে বাঁকুড়া রোডে রেললাইনের উপরে উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণকাজের জন্য অনেক বস্তিবাসীই অন্যত্র সরে গিয়েছেন। রয়েছেন কিছু বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, নির্মাণকাজের জন্য পাশের একটি কালভার্ট মজে গিয়েছে। সেটির সংস্কারে কেউ উদ্যোগী হননি। তার জেরে বৃষ্টির জলে জমে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই তা ঢুকে পড়ছে লাগোয়া বস্তিতে। সম্প্রতি বেশ কয়েক দিন বৃষ্টি হলেই জল ঢুকে পড়ছে এই বস্তিতে। বৃহস্পতিবারও প্রবল বর্ষণের জেরে বেশ কয়েকটি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ঘরে জল ঢুকে জিনিসপত্র ভাসতে থাকে। |
বাসিন্দা রাধা মাহাতো, বিজয় সিংহ, অজিত কর্মকারেরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ষণ শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বস্তির বাড়িগুলিতে জল জমতে শুরু করে। তাঁরা বলেন, “এখানে অধিকাংশ পরিবারেরই আর্থিক অবস্থা খারাপ। বৃষ্টিতে জল জমে যাওয়ায় অন্তত কুড়িটি পরিবার বিপাকে পড়েছে।”
বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টির জল বস্তির অনেক বাড়িতে ঢুকলেও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই কুড়িটি বাড়ি। তাঁরা জানান, বৃষ্টি থামলে জল হয়তো নেমে যাবে। কিন্তু কর্দমাক্ত ও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে কাটাতে হবে আরও কিছু দিন।
গত সপ্তাহে জল ঢুকে যাওয়ার খবর পেয়ে পৌঁছন কাউন্সিলর বিশ্বনাথবাবু। তখনকার মতো জল বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। বিশ্বনাথবাবু জানান, কালর্ভাট আংশিক মজে যাওয়াতেই এই বিপত্তি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মজা কালভার্টের কারণে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই এলাকায় জল জমে যায়। স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।” |