এখনই হচ্ছে না সার্কিট বেঞ্চ
হাইকোর্টের নির্দেশে অবাক জলপাইগুড়ি
লপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাসের পরেই অস্থায়ী ভাবে সার্কিট বেঞ্চের কাজ চালু হবে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে এই ঘোষণার পরেই একরকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল জলপাইগুড়িতে। শিলান্যাসের দিন মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানাতে হাজার মানুষের জমায়েতের পরিকল্পনাও করে সার্কিট বেঞ্চ সমন্বয় কমিটি। নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে জলপাইগুড়ি বার আসোসিয়েশনও। তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে সব প্রস্তুতিই যেন থমকে গিয়েছে। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত বিভিন্ন মহল। কলকাতা হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই সার্কিট বেঞ্চ চালু করা সম্ভব নয়। যথাযথ পরিকাঠামো গড়ে না-তোলা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও আলোচনারই অবকাশ নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে এই মুহুর্তে বির্তকও চাইছে না সার্কিট বেঞ্চ দাবি আদায় সমন্বয় কমিটি। এদিন কমিটির সম্পাদক কমলকৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “হাইকোর্ট ঠিক কী বলেছেন, তা সরকারি ভাবে এখনও জানি না। তাই এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছি না।” তবে বার আসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী হতাশা গোপন করতে পারেননি। তিনি বলেন, “সরকারি ভাবে কিছুই জানি না। তবে যদি এমনটা হয়ে থাকে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা বিভ্রান্ত। রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা একরকম বলছেন আর বিচারবিভাগ অন্যরকম বলছেন।
নিজস্ব চিত্র।
বিষয়টি বুঝতে পারছি না।” সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের দাবিতে আন্দোলন করে আদালত অবমাননার মামলায় কারাদন্ড হয়েছিল জলপাইগুড়ির তদানীন্তন কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ের। এদিন তিনি বলেন, “আমি মনে করি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যখন আন্তরিক ভাবে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন তখন একটা সমাধান সূত্র নিশ্চয়ই বার হবে।” উচ্চ আদালতে উত্তরবঙ্গের বিচারপ্রার্থীদের আবেদন জানাতে সুবিধে করে দিতে আশির দশকে শেষ দিকে প্রথম কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ জলপাইগুড়িতে স্থাপন করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। নব্বইয়ের দশকে জলপাইগুড়ি শহর কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে। শিলিগুড়ি না জলপাইগুড়ি কোথায় সার্কিট বেঞ্চ হবে তা খতিয়ে দেখতে কলকাতা হাইকোর্টের তদানীন্তন তিন বিচারপতির দল পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন রিপোর্ট জলপাইগুড়ির পক্ষেই যায়। সরকারি ভাবে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর এলাকায় সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের জন্য প্রায় ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। স্থায়ী ভবন তৈরি হতে যতদিন লাগবে ততদিন অস্থায়ী ভাবে বেঞ্চের কাজ চালুর জন্য জলপাইগুড়ি শহরের স্টেশন রোডে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ভাড়া নিয়ে আদালত ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়। বিচারপতিদের থাকার জন্য তিস্তা ভবন ও সার্কিট হাউসের সম্প্রসারিত অংশকে সাজিয়ে তোলা হয়। ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় আইন সচিবের উপস্থিতিতে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী পরিকাঠামো বিচার বিভাগকে হস্তান্তর করে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপরে বেশ কয়েকবার জলপাইগুড়িতে বেঞ্চের পরিকাঠামো পরিদর্শন করেন হাইকোর্টের বিভিন্ন প্রতিনিধি দল। হাইকোর্টের নির্দেশমতো অস্থায়ী ভবনের রদবদলও করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.