বাম আমলে এখানকার মানুষ উন্নয়নের সুযোগ-সুবিধা তেমন পাননি। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তাই ‘বঞ্চিত’ বসিরহাট মহকুমাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি বসিরহাটে দলের মহিলা কর্মী সম্মেলনে এসে বসিরহাটের মানুষকে এই আশ্বাস দেন তিনি। রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুতের পাশাপাশি মহকুমাশাসকের দফতরের মধ্যে খাদ্য দফতর তৈরি করে এখানকার রেশনিং ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা হবে বলে তিনি জানান। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখেই মন্ত্রীর এমন ঘোষণা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, “আগে কেউ বসিরহাটের মানুষের উন্নতির জন্য বিশেষ কোনও কাজ করেননি। তাই আমরা ঠিক করেছি প্রথমে রাস্তা দিয়ে সাজাব বসিরহাটকে। সে জন্য হাসনাবাদ, সন্দেশখালি ১ ও ২, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া এবং মিনাখাঁ ব্লক এলাকায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে।”
মহকুমায় উন্নয়নমূলক আর যে সব কাজের পরিকল্পনা করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আসের্নিকমুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি আয়লা বিধ্বস্ত এলাকায় নদীবাঁধগুলি চওড়া করার কাজও হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “মহকুমাশাসকের দফতরের মধ্যে খাদ্য দফতর তৈরি করে রেশনিং ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা হবে।”
গরিব মানুষকে বিপিএল তালিকাভুক্ত করতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জানিয়ে জ্যোতিপ্রিয়বাবুর বক্তব্য, “জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েতগুলি সিপিএম তথা বামেদের দখলে ছিল। এক একটি পঞ্চায়েতে পাঁচ বছরে বহু টাকা এসেছে। অথচ বাম পরিচালিত পঞ্চায়েতে কেবল দুর্নীতি হয়েছে। উন্নয়নের প্রায় কোনও কাজই হয়নি। রেশনিং ব্যবস্থাও বেহাল হয়ে পড়েছিল।”
খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁরা রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এক বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে রেশনিং ব্যবস্থায় ৫০ শতাংশ চুরি বন্ধ করা গিয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় গরিব এবং আয়লা দুর্গতদের মধ্যে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার পরিবারকে কেজি প্রতি ২ টাকা মূল্যের চাল দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। |