অরণ্য সপ্তাহে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। বন দফতরের রূপনারায়ণ বন বিভাগের অন্তর্গত রামগড়, গোয়ালতোড় ও গড়বেতা থানা এলাকায় নতুন স্কুলবাড়ি, কমিউনিটি হলের উদ্বোধনের পাশাপাশি কহল বৃক্ষরোপণ। বুধবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বিশেষ মুখ্য বনপাল এম ভি রাজশেখর ও সিআরপিএ-র আইজি বিবেক সহায়। ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি এলাকার মানুষের উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে তারই উদ্বোধন করা হল।”
এ দিন প্রথম অনুষ্ঠানটি হয় শালবনির কোবরা ক্যাম্পে। সেখানে ৮০০ গাছ লাগানো হয়। তারপরই আইএপিতে (ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান) তৈরি কমিউনিটি হলের উদ্বোধন হয় রামগড়ে। |
গোয়ালতোড়ের বনকাটিতে নতুন স্কুলের উদ্বোধনে বন-কর্তারা।—নিজস্ব চিত্র। |
এই কমিউনিটি হলে অনেক দিন ধরেই স্ব-সহায়ক দলগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১টি স্ব-সহায়ক দল যাতে উৎপাদন শুরু করে দিতে পারে, সে জন্য এ দিন বন দফতরের তরফে ৯টি শালপাতার থালা তৈরির যন্ত্র ও দু’টি ধূপকাঠি বানানোর যন্ত্র দেওয়া হয়। রামগড় প্রাথমিক স্কুলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার বিভিন্ন সরঞ্জামও দেওয়া হয়। ‘আমার বাড়ি’ প্রকল্পে নির্মিত ১৫টি বাড়ির মালিকের হাতে শংসাপত্রও তুলে দেওয়া হয় এ দিন।
রামগড় থেকে বন দফতরের কর্তারা যান কেনকেনালি। সেখানে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি বড় কালভার্ট তৈরি করেছিল বন দফতর। তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। তারপর বনকাটি। সেখানে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকায় তৈরি স্কুলের উদ্বোধন করা হয়। বাথামতোড়ে প্রাণি পালনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বন দফতর। ৪টি শেড বানানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে, হাঁস-মুরগি-শুয়োর। পুকুর পাড়েও তৈরি করা হয়েছে শেড, যাতে মাছ সহজে খাবার পায়। পুকুরের চার দিকে বিভিন্ন ফলের চারাগাছ লাগানো হয়েছে। বন সুরক্ষা কমিটিই এর দেখভাল করবে। লভ্যাংশ পাবে। |