রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন (আরআইডিএফ) খাতে গত আর্থিক বছরে টাকা না পাওয়ায় হাওড়া জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা মেরামতির কাজ এখনও শুরুই করতে পারেনি হাওড়া জেলা পরিষদ। চলতি আর্থিক বছরের টাকাও মেলেনি। এর ফলে, জেলার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকার রাস্তা মেরামতি কবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরআইডিএফ খাতের টাকা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর দেয় জেলা পরিষদকে। এই টাকা আবার রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর নাবার্ড থেকে ঋণ হিসেবে পেয়ে থাকে। সেই টাকায় জেলা পরিষদগুলি গ্রামীণ এলাকার রাস্তা মেরামত করে।
প্রতি বছর পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর জেলা পরিষদগুলির কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়ে পাঠায়। সেই মতো জেলা পরিষদগুলি সেই প্রস্তাব পাঠিয়ে দেয়। সেই সব প্রস্তাবের উপরে ভিত্তি করে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর জেলা পরিষদগুলিকে টাকা দেয়।
হাওড়া জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, ২০১১-১২ সালের জন্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাছে ২৩ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু একটি টাকাও এই খাতে দেওয়া হয়নি। জেলা সভাধিপতি মীনা ঘোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আরআইডিএফের টাকা না পাওয়ায় ২০১১-১২ আর্থিক বছরে কোনও রাস্তা মেরামতির কাজ করা গেল না। এই আর্থিক বছরেও এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা আসেনি। প্রতি বছরই এই খাতে টাকা আসে। এ বারই ব্যতিক্রম হল।” তবে, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানান, নাবার্ডের কাছে ঋণের টাকার জন্য দরবার করা হয়েছিল। কিন্তু নাবার্ডের কাছ থেকে যথা সময়ে টাকা মেলেনি। তাঁর দাবি, “সম্প্রতি চলতি আর্থিক বছরের টাকা পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকা জেলা পরিষদগুলিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
হাওড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর মাত্র ৮ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠাতে বলেছে। এত কম টাকায় কী হবে? আমরা ২৩ কোটি টাকার পুরনো প্রস্তাবগুলিকেই মাস খানেক আগে ফের পাঠিয়ে দিয়েছি। তার পরেও অনেক দিন কেটে গিয়েছে। হাতে এখনও কোনও টাকা পাইনি।” |