টোলগেটের ফি কমানোর দাবিতে এক মাস আন্দোলন করে লাভ না হওয়ায় জেলা জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বেসকরকারি পরিবহণ ধর্মঘটের হুমকি দিল জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার দুপুরে সংগঠনের জেলা দফতরে বৈঠকের পর ওই হুমকি দিয়েছেন বাস মালিকেরা। সংগঠনের জেলা সম্পাদক অশোক চন্দ বলেন, “প্রশাসনিক কর্তারা আমাদের আন্দোলনকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। টোলফি না কমায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি। আজ, বুধবার আমরা চাকুলিয়া থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ফের টোল ফি কমানোর দাবি জানাব। সেখানে প্রশাসন নিযুক্ত টোল গেটের এজেন্সির লোকজনও থাকবেন। দাবি পূরণ না হলে কাল, বৃহস্পতিবার থেকে জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, দীর্ঘদিন বাসের ভাড়া বাড়েনি। তেল, কর্মী বেতন, যন্ত্রাংশের খরচ বেড়েছে। সেখানে বাড়তি ফি দেওয়া সম্ভব নয়। জেলাশাসক পাশাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “জাতীয় সড়ক দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এজেন্সি নিয়োগ করে ফি আদায় করছেন। বাস মালিকরা ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।” গত ৩১ মে থেকে অসুরাগড় এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টোলপ্লাজা চালু করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন উত্তর দিনাজপুর সহ মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার প্রায় ১১৫ টি বেসরকারি বাস অসুরাগড় হয়ে রায়গঞ্জ, মালদহ ও বালুরঘাট থেকে শিলিগুড়ি রুটে যাতায়াত করে। প্রতিবাস থেকে প্রতিবার যাতায়াত পিছু ২৩০ টাকা করে টোল ফি আদায় করা শুরু হয়। বাস মালিকদের চাপে পরে যাতায়াত পিছু ৭০ টাকা করে ফি আদায় শুরু হয়। সম্প্রতি তা ফের ১৫০ টাকা করায় বাস মালিকেরা আন্দোলনে নামেন। বাসমালিকরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে যাতায়াত পিছু প্রতিটি বাস থেকে ৭৫ টাকা করে টোল ফি আদায় করা হচ্ছে। বাস মালিকদের দাবি, ওই ফি ৪০ টাকা করা হোক। দার্জিলিং জেলার ঘোষপুকুরে ৪০ টাকা করেই ফি নেওয়া হয় বলে বাস মালিকেরা জানান। উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা টোল ফি কমানোর দাবিতে প্রায় তিনঘন্টা অসুড়াগড় এলাকার জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন বাস মালিকেরা প্রশাসনিক আশ্বাসে পরে অবরোধ উঠেছিল।
|