চার দিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির দফতরে ভাঙচুর চালিয়ে ৪ কর্মীকে জোর করে তুলে নিয়ে গেলেন বাসিন্দাদের একাংশ। মঙ্গলববার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির দফতরে। পুলিশ জানায়, জুনিয়র ম্যানেজার সুশান্ত সিংহ, ক্যাশিয়ার মনোজ সাহা, দুই লাইনম্যান পঙ্কজ চৌধুরী এবং হরেজ আলিকে তুলে নিয়ে গিয়ে কড়িয়ালি বাজারে একটি দোকানে আটকে রাখা হয়। দু’ঘণ্টা বাদে পুলিশ গিয়ে ৪ কর্মীকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দফতরের কর্মীরা। হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি বিপুল বন্দোপাধ্যায় বলেন, “চার দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় একদল বাসিন্দা দফতরে ভাঙচুর চালিয়ে ৪ কর্মীকে তুলে নিয়ে একটি দোকানে বসিয়ে রাখেন। তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানীর নর্থ মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার বরুন বিশ্বাস বলেন, ওখানে কি সমস্যা তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভালুকা গ্রুপ সাপ্লাই দফতর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে কড়িয়ালি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। প্রতিনিয়ত ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলতে থাকে বলে বাসিন্দাদের দাবি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৪ দিন ধরে গোটা এলাকা বিদুৎহীন হয়ে রয়েছে। বার বার দফতরে যোগাযোগ করা হলেও সমস্যা মেটাতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির অভিযোগ, এ দিন দুপুরে একটি টাটা সুমো, বাইক ও সাইকেলে চেপে প্রায় ৩০ জন বাসিন্দা দফতরে হাজির হন। সেখানে গিয়ে তাঁরা দফতরে ভাঙচুর শুরু করেন বলে অভিযোগ। সেই সময়ে দফতরে ৪ জন কর্মী ছিলেন। তাঁদের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে ৪ জনকেই টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানিরই একটি মোবাইল ভ্যানে তোলেন তাঁরা। বাসিন্দাদের মধ্যে একজন সেই গাড়ি চালিয়ে তাঁদের কড়িয়ালি বাজারে নিয়ে গিয়ে যাওয়া হয়। দফতরের স্টেশন ম্যানেজার নীহার ঘোষ বলেন, “যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য সমস্যায় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সরবরাহের বিষয়টি আমরা দেখি না। কিন্তু কড়িয়ালি এলাকা থেকে বেশ কিছু বাসিন্দা এদিন দফতরে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেন। তাঁরা ৪ কর্মীকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পরে সুশান্তবাবু বলেন, “আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমাদের বাজারে একটি দোকানে রাখা হয়। স্টেশন ম্যানেজার না এলে কাউকে ছাড়া হবে না বলে জানানো হয়। পুলিশ উদ্ধার করে।” |