মন্তেশ্বরের দু’বছরের শিশু দুলালি খাতুনের চিকিৎসায় সাহায্যে এগিয়ে এল কালনা মহকুমা প্রশাসন। দুলালিকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিশুটির পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু নগদ টাকাও। এছাড়া দুলালির বাবা চায়ের দোকান করতে চাইলে প্রশাসনিক সাহায্য মিলবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ছোট থেকেই দুলালির হাত-পা শীর্ণ। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও নেই। অথচ সারাদিনে প্রায় ৬ কেজি দুধ খায় সে। মেয়ের খাবার যোগাতে দেউলিয়া দশা পরিবারের। স্থানীয় গোয়ালার পাওনা দুধের দাম ছাড়িয়েছে দশ কুইন্ট্যাল। বাধ্য হয়েই দুলালির বাবা আবদুল মানেক মণ্ডল মন্তেশ্বরের বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। |
বিডিওর কাছ থেকে কিছু সাহায্য মিললেও সমস্যা মেটেনি। সোমবার দুলালির বাবা-মা মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচির কাছে লিখিত আর্জি জানান। মেয়েকে নিয়ে দেখাও করেন। দুলালির মা ফারমিনা বিবি বলেন, “আরও দু’টো মেয়ে আছে। ছোটটার জন্য অনেক ধার হয়ে গিয়েছে। গোয়ালা রোজ এসে তাগাদা দিচ্ছে। জানিনা কী হবে?” মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, দুলালির জন্য প্রথমে কালনা হাসপাতালের এক শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চাওয়া হয়। তিনিই কলকাতার ওই হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। শীঘ্রই দুলালিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে। মহকুমাশাসক বলেন, “মনে হচ্ছে শিশুটি কোনও জটিল রোগের শিকার। ওর বাবা-মাও যাতে নিজেদের আয় বাড়াতে পারেন সে ব্যাপারে সাহায্য করা হবে।” |