বিদ্যুৎ-বিভ্রাট কমছে না কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে। গত এক মাসে একাধিক বার লাইন ট্রিপ করে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং এসএসকেএম হাসপাতাল। সোমবার রাতে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ভুগল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবনের তিনটি ব্লক।
সোমবার রাত সওয়া বারোটা নাগাদ মাটির নীচের কেব্ল খারাপ হয়ে অন্ধকার হয়ে যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবনের সার্জিকাল মেন, অর্থোপেডিক এবং চেস্ট ও সার্জিক্যাল এক্সটেনশন ব্লক। হাসপাতালের মাটির নীচের ওই মেন কেব্লের ভিতর দিয়ে সিইএসসি ও হাসপাতালের জেনারেটরের লাইন গিয়েছে। ফলে ওই দিন কেব্লটি খারাপ হওয়ায় জেনারেটরও স্তব্ধ হয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ভবনেই রয়েছে ইমার্জেন্সি ওটি। রাতে সেখানে টর্চ জ্বালিয়ে ছোটখাট অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে চিকিৎসকদের। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। একমাত্র সার্জিক্যাল এক্সটেনশনে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। বাইরে থেকে আনা জেনারেটরের মাধ্যমে সেখানে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
সুপার পার্থপ্রতিম প্রধান স্বীকার করেছেন, “হাসপাতালে সিইএসসি-র লাইন ও জেনারেটরের লাইন একটা কেব্লের ভিতর দিয়ে গিয়েছে। ফলে কেব্লটি খারাপ হওয়ায় জেনারেটরও চলেনি। রাতে ঘণ্টাখানেক তিনটি ব্লকে বিদ্যুৎ ছিল না। তার পরই বেশিরভাগ অংশে সারাই করে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করা হয়। বাইরে থেকে জেনারেটরও আসে। তা না হলে সর্বনাশ হত। ওই এক ঘণ্টায় কোনও বড় অস্ত্রোপচারের দরকার যে পড়েনি, সেটাই রক্ষে।” কিন্তু হাসপাতালে সিইএসসি এবং জেনারেটরের লাইন একই কেব্লের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? এতে তো কেব্ল খারাপ হলে ভবিষ্যতেও হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর কাজ করবে না। পার্থবাবুর উত্তর, “আজই স্বাস্থ্যভবনে সমস্যাটি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। অপারেশন থিয়েটার, আইটিইউ, নিকু-পিকুর মতো পরিষেবার ক্ষেত্রে যাতে অবিলম্বে ইউপিএস ব্যাকআপ দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ জানিয়েছি।” স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, বিভিন্ন হাসপাতালে বিদ্যুতের কেব্ল পুরনো হয়ে যাওয়া, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, লোড বেড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়েছে। এ নিয়ে পিডব্লিউডি-র ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালানো হচ্ছে। |