শেষ পর্যন্ত পাহাড়ে জিটিএ-র নির্বাচন থেকে কার্যত সরেই দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল।
পাহাড়ের ভোটে দলের প্রার্থীদের নিয়ে মঙ্গলবার তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মুকুল প্রার্থীদের জানিয়ে দেন, তৃণমূল ভোটে লড়বে না। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটে না-লড়ার সিদ্ধান্ত আগামী ২৩ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে মুকুল জানিয়ে দেবেন। ইতিমধ্যে ‘পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, প্রার্থীদের ভয় দেখানো’র অভিযোগ তুলে সিপিএমও পাহাড়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।
ভোটে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত শুনে এ দিন তৃণমূলের প্রার্থীরা ‘ক্ষুণ্ণ’ হন। তাঁরা মুকুলকে প্রশ্নও করেছেন, পাহাড়ে ফিরে গিয়ে তাঁরা কী বলবেন? প্রচারে ইতিমধ্যে তাঁরা খরচও করেছেন। মুকুল তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, প্রচারে তাঁদের যা খরচ হয়েছে তা বিল করে দিতে। দল সেই খরচ মিটিয়ে দেবে। এমনকী, পাহাড়ে ফেরার পরে তাঁরা যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, সে ক্ষেত্রে প্রশাসন তাঁদের নিরাপত্তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করবে। ওই প্রার্থীরা মুকুলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, ১৭টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনে তাঁরা ‘ভাল অবস্থা’য় রয়েছেন এবং একটি আসনে জেতার প্রবল সম্ভাবনাও রয়েছে। তৃণমূলের নেতৃত্বের একাংশের অভিমত, সমস্ত দিক বিবেচনা করেই মুকুলবাবুরা পাহাড়ে জিটিএ-র ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ওই নেতাদের বক্তব্য, পাহাড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জনভিত্তি’ তৈরি হচ্ছে বলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্বের মধ্যে একটা ‘আশঙ্কা’ তৈরি হয়েছে। কিন্তু জিটিএ ভোটে লড়াই করতে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা না-জিততে পারলে বা প্রার্থীদের যদি ‘জামানত জব্দ’ হয় তাহলে তৃণমূল নেত্রীরই ‘ভাবমূর্তি’ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে মুকুলরা সেই ঝুঁকি নিতে চাননি। |