যাত্রী তোলা নিয়ে বিতর্কের জেরে এবং জলপাইগুড়ির টাউন রেল স্টেশন পর্যন্ত হলদিবাড়ি থেকে আসা বাসগুলির যাত্রাপথ সম্প্রসারণের দাবিতে ফের পথে নামলেন বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি সদর থানার খারিজা বেরুবারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙার বাসিন্দারা মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়ির মধ্যে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। সোমবার বিকেলে হলদিবাড়িগামী একটি ছোট ট্রাক জলপাইগুড়ির ৩নং গুমটি এলাকা থেকে যাত্রী তুলে নিয়ে হলদিবাড়ি অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। শহরের বউবাজার এলাকায় নতুন হলদিবাড়ি বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছলে ট্রাক থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই যাত্রীরা বাসে যেতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ। যাত্রীরা সকলেই ঘুঘুডাঙা এলাকার ছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং হলদিবাড়ি বাসের যাত্রাপথ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন পর্য্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিতে ঘুঘুডাঙার বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। মঙ্গলবার সারাদিন জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়ির মধ্যে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি মিউনিসিপ্যালিটি জলপাইগুড়ি শহরের বউবাজার এলাকায় হলদিবাড়িগামী বাসগুলির বাস স্ট্যান্ড তৈরি হয়। আগে বাসগুলি স্টেশনের কাছ থেকে ছাড়তো। এখন বউবাজারে নতুন বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে শুধু ২ নম্বর গুমটি পর্যন্ত আসতে যাত্রীদের অতিরিক্ত দশটাকা রিকশা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি আসার জন্য বাসভাড়া রিকশা ভাড়া মিলিয়ে প্রায় ২৫ টাকা খরচ হচ্ছে বলে নিত্যযাত্রীরা জানিয়েছেন। ফলে যাত্রীরা ২ নম্বর স্টেশন অথবা ৩ নম্বর গুমটিতে গিয়ে ট্রাক বা ছোট গাড়িতে ১৫ টাকা ভাড়া দিয়ে হলদিবাড়িতে যাচ্ছেন। ঘুঘুডাঙায় আন্দোলনরত বাসিন্দাদের পক্ষে রঞ্জন রায়, হরি শর্মারা বলেন, “হলদিবাড়ি এবং জলপাইগুড়ির মধ্যে যাতায়াতকারী বাসিন্দাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা না-চিন্তা করেই জলপাইগুড়ির বউবাজারে হলদিবাড়ি বাসস্ট্যান্ড করা হয়েছে। আমাদের দাবি, জলপাইগুড়িতে যাওয়ার সময়ে স্টেশনের পুরানো জায়গা পর্য্যন্ত বাসগুলির যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করা হোক। একইভাবে হলদিবাড়ি আসার সময় বাসগুলি বউবাজার থেকে ছেড়ে স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে ৩ নম্বর ঘুমটি থেকে যাত্রীদের তুলে নিয়ে হলদিবাড়ি যাক। তা হলে কোন অশান্তি হবে না।” বিকেল পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ ঘুঘুডাঙায় যাননি। |