প্যানেলভুক্ত যুবকের চাকরি নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। মঙ্গলবার দুপুরে বসিরহাটের টাকি রোডের পাশে অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে বিক্ষোভ চলে। অভিযোগ, সেই সময় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে গালিগালাজ করে তাঁর ঘরে ভাঙচুর চলে। শেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ জানায়, ইটিন্ডা ইউনিয়ন হাইস্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ২০০৯-এর অগস্ট এবং ২০১১-এর জানুয়ারিতে ওই স্কুল থেকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে যে প্যানেল জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে গণেশ পালের নাম ছিল। কিন্তু নানা টালবাহানায় তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে এ দিন টিএমসিপি-র সদস্যেরা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে গিয়ে আধিকারিককে ঘেরাও করে। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে কয়েকজন দফতরে টেবিল ভাঙচুর করে আধিকারিককে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শঙ্করপ্রসাদ ঘটক বলেন, “কোনও নোটিশ ছাড়াই এ দিন ছেলেরা এসে আমার ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে গালিগালাজ করেছে। আমার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া এবং অন্য অভিযোগ থাকলে তার প্রশাসনিক তদন্ত হোক। ভিজিলেন্স হোক, আপত্তি নেই।” টিএমসিপি নেতা শমিক রায় অধিকারী অবশ্য বলেন, “নানা অজুহাতে দুঃস্থ ছেলেটিকে বারেবারে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদ জানাতে এ দিন দলীয় সদস্যেরা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। গালিগালাজ বা ভাঙচুর করা হয়নি।”
ইটিন্ডা ইউনিয়ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রিয়তোষ মণ্ডল বলেন, “আমাদের তরফে যা যা করার সব করা হয়েছে। দু’বার প্যানেল জমা দেওয়া হয়েছে। কেন একটি ছেলের সঙ্গে এমন হচ্ছে বলতে পারব না।” বলেন, “কিছু প্রশাসনিক জটিলতার জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছে। মনে হচ্ছে আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” |