সাক্ষী হাজিরা না দেওয়ায় শুরু হল না জঙ্গি সন্দেহে ধৃত চার জনের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি।
২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে মহম্মদ ইউনূস, শেখ আবদুল্লা, মুজফ্ফর আহমেদ রাঠৌর এবং শেখ নঈম ওরফে সামিরকে গ্রেফতার করেছিল বিএসএফ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দাবি করেন, ধৃতেরা লস্কর-ই-তইবার আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য। সেনাবাহিনীর উপরে হামলা চালানোর উদ্দেশে তারা দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছিল এ দেশে। বনগাঁ মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্ট) অপরাজিতা ঘোষের এজলাসে ওই চার জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, বেআইনি অনুপ্রবেশ-সহ ১২টি ধারায় রুজু করা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
কিন্তু ৪৭ জন সাক্ষীর কেউ-ই সোম ও মঙ্গলবার আদালতে হাজির হননি। মঙ্গলবার ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হয়। তাদের দাবি মতো এ দিন কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া রেশন কার্ড, বিদ্যুতের বিল, ভোটার পরিচয়পত্র-সহ বিভিন্ন সামগ্রী আদালতে পেশ করে পুলিশ। বিচারক সকলকে ফের জেলহাজতে পাঠান। আজ, বুধবার শুনানি চলবে।
মামলার সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, “১৩ জন বিএসএফ জওয়ানের সাক্ষী দেওয়ার কথা। এ দিন তাঁদেরই এক জনের আসার কথা ছিল। তিনি না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা যায়নি।” বিচারক জানতে চান, কেন এলেন না সাক্ষী। সমীরবাবু জানান, কল্যাণীতে বিএসএফের কার্যালয়ে সমন পাঠানো হয়েছিল দেড় মাস আগে। জওয়ানেরা অনেকে কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে আছেন। সমন সাক্ষীদের হাতে আদৌ পৌঁছেছে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সুব্রত বসু। বনগাঁ থানার এক জন পুলিশ কর্মীকে কল্যাণী যাওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। যে সব জওয়ানের সাক্ষী দেওয়ার কথা, তাঁরা সমন পেয়েছেন কিনা তা সরেজমিন দেখবেন ওই পুলিশকর্মী।
থানা চত্বরে বিক্ষোভ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, কৃষকদের কাছ থেকে জমি ছিনিয়ে নেওয়া-সহ বেশ কিছু অভিযোগে থানায় বিক্ষোভ দেখালেন কৃষক সমিতির সদস্যেরা। রবিবার বিকেলে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর উপকূলবর্তী থানায় বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নিরীহ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না পুলিশ। সংশ্লিষ্ট থানার ওসি অলোকেশ বালার কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কালীতলা, হেমনগর, যোগেশগঞ্জ-সহ কয়েকটি এলাকা থেকে বামফ্রন্টের কৃষক সংগঠনের কয়েকশো সদস্য মিছিল করে থানায় যান। সেখানে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন হিঙ্গলগঞ্জ লোকাল কমিটির সম্পাদক রবি বিশ্বাস, প্রফুল্ল গায়েন, আবুল গাজি। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পাট্টা পাওয়া কৃষকদের জমি থেকে উচ্ছেদ করছে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। |