|
|
|
|
স্বামীকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে খুনের অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানা এলাকার খড়াখাই গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ পাত্রের (৪১) দেহ বাড়ির পিছনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্ত্রী সুজাতাদেবীর কথায় অসঙ্গতি মেলায় সন্দেহ হয় গ্রামবাসী, আত্মীয়-স্বজনের। এর পরেই মারধর করে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ। সুজাতাদেবীর প্রতিবেশী প্রেমিক মনোজিৎ পাত্র পলাতক। দাঁতন থানার আইসি মিহিরলাল নস্কর বলেন, “পরিকল্পনামাফিক এই খুন। অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃত সুজাতাদেবীকে বুধবার আদালতে হাজির করা হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সতেরো আগে সুজাতাদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় অরবিন্দবাবুর। দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে। প্রতিবেশী মনোজিৎবাবুর সঙ্গে মিলে মাংসের দোকান চালাতেন অরবিন্দবাবু। দুই পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই সূত্রেই ক্রমশ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মনোজিৎবাবু ও সুজাতাদেবী। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলছিল। গ্রামে বারকয়েক সালিশিসভাও বসেছিল। সমস্যা মেটেনি। সম্প্রতি অরবিন্দবাবুর দুই ছেলে গুজরাটে কর্মস্থল থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক পাঠান। সোমবার ওই চেক নিয়ে ব্যাঙ্কে যান অরবিন্দবাবু, সুজাতাদেবী ও মনোজিৎবাবু। পরে সুজাতাদেবী বাড়ি ফিরে এলেও অন্য দু’জন আসেননি। ‘একা থাকতে ভয় করছে’ বলে রাতে সুজাতাদেবী তাঁর এক দেওরকে ফোন করেন ও তাঁর বাড়িতে ঘুমোতে যান। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পিছনে অরবিন্দবাবুর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সুজাতাদেবীর আচরণে সন্দেহ জাগে গ্রামবাসীর। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মনোজিৎবাবুরও। সুজাতাদেবীই স্বামীকে খুন করেছেন বা করিয়েছেন সন্দেহে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ ও পরে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসী। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সুজাতাদেবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শ্বাসরোধ করে অরবিন্দবাবুকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|