|
|
|
|
পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের দাবিতে অবস্থান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কাঁসাই-হল্টে পূর্ণাঙ্গ স্টেশন তৈরি ও টিকিট কাউন্টার চালুর দাবিতে রেললাইনের পাশেই অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন এলাকার মানুষ। কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে স্থানীয়দের দাবিকে সমর্থন করলেন মেদিনীপুরের সিপিআই সাংসদ প্রবোধ পণ্ডাও। সঙ্গে আশ্বাস দিলেন, “রেল-কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেন, তা হলে সাংসদ কোটা থেকে টাকা দিতেও প্রস্তুত।” কাঁসাই-হল্ট রেলওয়ে ব্রিজ উন্নয়ন-কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে এই কর্মসূচি পালিত হয়। কমিটির পক্ষে প্রবীরচন্দ্র ঘোষ বলেন, “এখানে টিকিট কাউন্টার নেই। স্থানীয়দের হয় গোকুলপুর, নয় তো মেদিনীপুরে গিয়ে টিকিট কাটতে হয়। নানা সমস্যায় পড়তে হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই পূর্ণাঙ্গ-স্টেশন তৈরি ও টিকিট কাউন্টার চালুর দাবিতে আন্দোলন করছি। আশা করব, রেল-কর্তৃপক্ষ দাবি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।” |
|
ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠা কাঁসাই হল্টের চেনা ছবি। নিজস্ব চিত্র। |
মেদিনীপুর-গোকুলপুরের মধ্যে এই কাঁসাই-হল্ট। আগে এখানে ট্রেন দাঁড়াত না। স্থানীয়দের দাবি মেনে কয়েক বছর আগে থেকে এখানে মেদিনীপুর-হাওড়া শাখার লোকাল ট্রেন দাঁড়ায়। এ জন্য স্টেশনও তৈরি হয়েছে। তবে লাইনের দু’দিকে যাত্রীদের দাঁড়ানোর ছাউনি নেই। স্টেশনটিও সেই অর্থে পূর্ণাঙ্গ নয়। লোকাল ট্রেন দাঁড়ালেও টিকিট কাউন্টার চালু হয়নি। ফলে, স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এই এলাকার আশপাশ থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী মেদিনীপুর-খড়্গপুরে পড়াশোনা করতে আসেন। পূর্ণাঙ্গ স্টেশন না-থাকায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকে ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনে ওঠেন। এর ফলে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে। রেলওয়ে ব্রিজ উন্নয়ন-কমিটির উদ্যোগে এ দিন সকাল থেকেই রেললাইনের পাশে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়। আবেদনে সাড়া দিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন মেদিনীপুরের সিপিআই সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “গ্রামের মানুষের দাবির সঙ্গে আমিও একমত। কাঁসাই-হল্ট স্টেশনটিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি।” স্কুল ছাত্রছাত্রীরাও এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়। তাদের মধ্যে ছিল সুরজিৎ ঘোষ, দীপিকা দোলুই, টিঙ্কু সাঁতরা, সুমন পালেরা। নবম শ্রেণির ছাত্র সুরজিৎ বলে, ‘‘এখানে গোকুলপুরের মতো স্টেশন না-থাকায় সমস্যা হয়।” প্রবীরবাবু বলেন, “আমাদের দাবি আগেই রেল-কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এখনও সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করা হয়নি।” মেদিনীপুরের সাংসদের বক্তব্য, “বিষয়টি নিয়ে আমি খড়্গপুরের ডিআরএমের সঙ্গেও কথা বলেছি। স্থানীয়দের দাবির সঙ্গে আমি একমত। আশা করব, রেল-কর্তৃপক্ষ দাবি খতিয়ে দেখে দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।” |
|
|
|
|
|