|
|
|
|
ছাত্র-খুনে অভিযুক্তদের ধরার দাবি, পুরকর্মীদের থানা ঘেরাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শহর মেদিনীপুরে দিনে-দুপুরে বাড়ির মধ্যে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র-খুনে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে এ বার থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন পুরসভার কর্মচারীরা। তাঁদের বক্তব্য, দেখতে দেখতে দু’মাস পেরিয়ে গেল। অথচ, এখনও পুলিশ খুনিকে চিহ্নিত করতে পারল না। ফলে তাঁদের এক সহকর্মীর পরিবার বিচারের আশা দেখতে পারছে না। মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার আইসি জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেও খুনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান পুরকর্মীরা।
গত ১১ মে দুপুরে মেদিনীপুর শহরে বরিশাল কলোনিতে বাড়ির মধ্যেই রহস্যজনক ভাবে খুন হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অভিষেক নাগ। ঘন-বসতিপূর্ণ এলাকায় একটা বাড়ির পাশেই আরেকটা বাড়ি। চুরি-ছিনতাইও সে ভাবে হয় না। এমন এলাকায় বাড়ির মধ্যে নিজের ঘরেই কী ভাবে ওই ছাত্র খুন হয়ে গেল, স্বাভাবিক ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। স্থানীয়দের দাবি মেনে পুলিশ কুকুর এনেও তদন্ত হয়েছে। বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজে পুকুর ও কুয়োয় চুম্বক ফেলেও তল্লাশি চালানো হয়। ফরেন্সিক দলও এসেছে। কিন্তু অভিযুক্ত বা অভিযুক্তেরা ধরা পড়েনি। স্থানীয় মানুষের দাবি মেনে এক সময়ে ছাত্র-খুনের এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতেও তুলে দিতে চেয়েছিল জেলা পুলিশ। রাজ্য গোয়েন্দা দফতরে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। তবে, সিআইডি সে আবেদনে সাড়া দেয়নি। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
মৃত ছাত্রের বাবা প্রবীর নাগ মেদিনীপুর পুরসভার কর্মচারী। এ দিন পুরসভার সব ক’টি শ্রমিক সংগঠন মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। নেতৃত্ব ছিলেন সমীর প্রামাণিক, ভবানী দত্ত, অভিজিৎ দাস প্রমুখ পুরকর্মীরা। ছিলেন প্রবীরবাবুও। তাঁর কথায়, “দু’মাস পেরিয়ে গেল। এখনও ঘটনার কিনারা হল না। দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা জরুরি। পুলিশের কাছে সেই দাবিই জানিয়েছি।” পুরসভার ওই কর্মী বলেন, “আমার ছেলে খুন হয়েছে। পরে অন্য কারও ছেলে এ ভাবে খুন হতে পারে। সেই জন্যই দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা জরুরি।”
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার সব রকম চেষ্টাই হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর আশ্বাস, “এ ক্ষেত্রে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|