|
|
|
|
স্কুলের মধ্যে ঢুকে শিক্ষককে মার ছাত্রের পরিজনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
ক্লাসঘরে অভব্য আচরণের জন্য মঙ্গলবার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে বকাবকি করে লাঠিপেটা করেছিলেন খড়্গপুরের সাউথ সাইড হাইস্কুলের এক শিক্ষক। তার জেরে পাড়ার যুবকদের নিয়ে স্কুলে চড়াও হন ওই ছাত্রের অভিভাবক। ছাত্রটিকে সঙ্গে নিয়ে স্টাফরুমে ঢুকে সেই শিক্ষককে মারধর করেন তাঁরা। চেয়ার তুলে ওই শিক্ষকের মাথায় আঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় রঞ্জনকুমার রায় নামে ওই শিক্ষককে প্রথমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
আহত শিক্ষক রঞ্জনকুমার
রায়। —নিজস্ব চিত্র |
অনুতাপহীন ছাত্রটির দাবি, ওই শিক্ষক বিনা দোষেই নাকি তাকে মারধর করেছিলেন। শিক্ষকের বক্তব্য, ছাত্রটি ক্লাসে কথা শুনছিল না। তাই বকাবকি এবং বাধ্য হয়েই শেষে লাঠি দিয়ে মারতে হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন প্রহৃত শিক্ষক। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর বক্তব্য, “শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সাউথ-সাইড স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুধাপদ বসু বলেন, “এমন ঘটনা ভাবা যায় না।” জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড়ও বলেন, “একেবারেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা।” স্কুল সূত্রের খবর, ওই ছাত্র শেখ সেলিম জাভেদ নিয়মিত স্কুলে আসে না। কেন সে অনিয়মিত, ক্লাসে তাই-ই জানতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানের শিক্ষক রঞ্জনবাবু। সঙ্গে আরও কিছু প্রশ্ন করেন। ছাত্রটি নির্বিকার ভাবে বেঞ্চে বসেই উত্তর দিচ্ছিল।
তখনই হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সেলিমকে মারেন ওই শিক্ষক। সামান্য আঘাত লাগে। টিফিনের সময়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানায় ওই ছাত্র। এর পরেই ওই ছাত্রের পরিবারের লোকজন স্থানীয় কয়েক জন যুবককে নিয়ে স্কুলে চড়াও হন। সেলিমকে সঙ্গে নিয়ে স্টাফ-রুমে ঢুকে আচমকাই তারা রঞ্জনবাবুকে মারধর শুরু করেন। সহ-শিক্ষকেরাই রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জনবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। স্কুলে এসেছিলেন ছাত্রটির কাকা মহম্মদ বিলাল। তাঁর সাফাই, “অন্যায় ভাবে আমার ভাইপোকে মারধর করা হয়েছে জেনে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। উত্তেজনার বশে সঙ্গের কয়েক জন ওই শিক্ষককে মারধর করে। আমরা এটা চাইনি।”
বাঁকুড়ার ওন্দার একটি স্কুলে দুপুর বারোটার পরে ইংরাজির শিক্ষিকা ক্লাসে ঢুকলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীরা ‘গুড মর্নিং’ বলেছিল। সেটাকে ছাত্রীদের গুরুতর ভুল মনে করে ওই শিক্ষিকা প্রায় ৬০ জন ছাত্রীকে ৪০ মিনিট কান ধরে বেঞ্চে দাঁড় করিয়ে রাখেন। সোমবারের ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ওন্দা উচ্চ-বালিকা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। |
|
|
|
|
|