নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আইন মেনেই আইন অমান্য করলেন সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের রাজ্য নেতৃত্ব।
ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে মঙ্গলবার ঘোষণা করা হল, মঞ্চের সামনে একটি অ্যাম্বাসেডর রাখা আছে। তাতে উঠবেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও প্রবীণ ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অশোক ঘোষ (আইন অমান্যে যোগ দিতে যাওয়ার আগে প্রেস ক্লাবে বৈদ্যবাটি নেতাজি সুভাষ অ্যাকাডেমির তরফে সুভাষচন্দ্র বসুর উপরে চারটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অশোকবাবু। উপস্থিত ছিলেন নরেন চট্টোপাধ্যায়ও)। এর পর তিনটি টাটা সুমো আছে। তাতে উঠবেন সিপিআইয়ের মঞ্জুকুমার মজুমদার, আরএসপি-র ক্ষিতি গোস্বামী, ডিএসপি-র প্রবোধ সিংহ, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ বাকি ২২ জন। ঘোষণামতোই সকলে পুলিশের গাড়িতে উঠলেন।
তার আগে মঞ্চ থেকে বিমানবাবু ঘোষণা করলেন, “সুশৃঙ্খল ভাবে আপনারা আইন অমান্য করবেন। নেতাদের পাশে নিজের ছবি তোলার জন্য কেউ হুড়োহুড়ি করবেন না।” অতীতে যখন টিভি ক্যামেরা ছিল না, তখন কত সুশৃঙ্খল ভাবে বামপন্থীরা আইন অমান্য করতেন, সে উদাহরণও তুলে ধরেন বিমানবাবু। |
কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাছাই-করা প্রতিনিধিদের জন্য পুলিশ বাসের ব্যবস্থা করেছিল। প্রতিনিধিদের যাঁরা আইন অমান্য করবেন, তাঁদের জন্য পৃথক নীল-সাদা ব্যাজের ব্যবস্থা ছিল। যাঁরা নীল-সাদা ব্যাজ পাননি, তাঁরা আর জমায়েতের পর আইন অমান্য করতে পারেননি। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই বিমানবাবু বলেন, “আপনারা ক্ষোভে বলতে পারেন, আমরা কি ব্যাজ ছাড়া আইন অমান্য করতে পারি না? এ বার পারবেন না! নৈরাজ্য, নারী নির্যাতন নিয়ে আবার আইন অমান্য করব। তখন আপনারা অংশ নেবেন।”পুলিশ গাড়ি করে বামফ্রন্টের রাজ্য নেতাদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যায়। তার পর ব্যক্তিগত জামিনে তাঁদের ছাড়া হয়। এ দিন কেন্দ্রীয় জমায়েতে তেমন ভিড় হয়নি। তবে মঞ্চ থেকে বার বার বলা হয়, পুলিশ যথেষ্ট পরিমাণ বাসের ব্যবস্থা না করতে পারায় বহু মানুষ আইন অমান্য করতে পারছেন না! রাজ্য সম্মেলনের পরে এ দিন কেন্দ্রীয় জমায়েতে দেখা গেল সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ অমিতাভ নন্দীকে। ছিলেন তড়িৎ তোপদার, নেপালদেব ভট্টাচার্যরাও। |