২১ জুলাই তৃণমূল সমাবেশে জনজোয়ার কোনও নতুন ঘটনা নয়। গত বার ব্রিগেডে দিনটি পালনের পরে এ বছর সমাবেশ ফিরছে পুরনো জায়গা, ধর্মতলায়। তাই এ বার জনজোয়ার সামলানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক কলকাতা পুলিশ।
শনিবার ধর্মতলার সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা যাতে কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না হয়, তাই নতুন কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছেন পুলিশকর্তারা। মঙ্গলবার এ নিয়ে লালবাজারে পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত পচনন্দা-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়, সুব্রত বক্সী। পরে যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম জানান, মঞ্চের পাশে এ বছর আরও বেশি ফাঁকা জায়গা (স্টেরাইল জোন) রাখা হবে। ব্যারিকেডও হবে আরও মজবুত। মঞ্চের সামনের দিকে থাকা লোকজনকে বসে পড়তে অনুরোধ করা হবে। এতেই ভিড়ের চাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১০-এ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেডের একাংশ ভেঙে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় জায়ান্ট স্ক্রিনে সমাবেশের ছবি দেখানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। শামিম আরও জানিয়েছেন, প্রতি বছরই ধর্মতলায় ওই মঞ্চের পিছনে ও চিত্তরঞ্জন আ্যভিনিউয়ের দিকে প্রচণ্ড ভিড় হয়। তৃণমূল নেত্রীকে সকলেই কাছ থেকে দেখতে চান। তাই আরও সচেতন থাকবে পুলিশ। পুলিশকর্তারা জানান, শুক্রবার রাত থেকে শহরে আসা গাড়িগুলি যাতে নির্দিষ্ট এলাকায় পার্ক করা হয়, লক্ষ রাখা হবে। এতে সমাবেশের দিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাস, লরির শহরে ঢুকতে সমস্যা হবে না। পুলিশ জানায়, বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। জেলাগুলির সঙ্গে যোগ রাখবে কলকাতা পুলিশ।
এ বছর শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মিছিলের ‘রুট’ কী রকম হবে? যুগ্ম কমিশনার জানান, ব্রেবোর্ন রোড, রবীন্দ্র সরণি, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের দিক থেকে আসা মিছিলগুলিকে মিশন রো-এর আগেই ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। তার পর থেকে মঞ্চ পর্যন্ত এলাকায় দলীয় নেতা, কেন্দ্র এবং রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ অন্যান্য ভিআইপিদের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হবে। মঞ্চের সামনে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং টিপু সুলতান মসজিদের সামনে থাকা কর্মী-সমর্থকদের রাস্তায় বসার কথা বলা হবে। এতে ভিড়ের চাপ অনেকটাই কমবে। এর পরে যে সব মিছিল পৌঁছবে সেগুলিকে ম্যাডান স্ট্রিট, মতি শীল স্ট্রিট দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হবে। হাওড়া থেকে আসা মিছিলগুলির জন্য খোলা থাকবে স্ট্র্যান্ড রোড। কিংসওয়ে, রাসমণি অ্যাভিনিউ ধরে সেগুলি পৌঁছবে ডোরিনা ক্রসিংয়ে। এসপি মুখার্জি রোড, পার্ক স্ট্রিট ধরে দক্ষিণের লোক আসবেন ধর্মতলায়। পূর্ব কলকাতার মানুষ পার্ক সার্কাস থেকে সিআইটি রোড, মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড দিয়ে পৌঁছবেন। |