ব্রাজিলে যন্ত্রাংশ জুড়ে ফ্রিল্যান্ডার গাড়িটি তৈরি করতে চায় জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার। সংস্থার চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার র্যাল্ফ স্পেথ জানান, এ জন্য সে দেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তাও শুরু করেছেন তাঁরা। ব্রিটেনে সংস্থার সোলিহাল কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করেই ব্রাজিলে পুরোপুরি ভাবে এই গাড়ি উৎপাদন করতে চায় টাটা গোষ্ঠীর শাখা সংস্থাটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এই ভাবে গাড়ি উৎপাদন করেই দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম অর্থনীতি ব্রাজিলে পূর্ণাঙ্গ কারখানা তৈরির পথে পা বাড়াতে চায় জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার। যে জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে আপাতত ল্যান্ড রোভারের সবচেয়ে ছোট গাড়ি ফ্রিল্যান্ডার ৪X৪-কেই বেছে নিয়েছে তারা। প্রাথমিক ভাবে চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যন্ত্রাংশ জুড়ে গাড়ি তৈরি করতে পারলে, ভবিষ্যতে সে দেশেই বড় কারখানা তৈরিতে আগ্রহী সংস্থা। তবে ব্রাজিলে জাগুয়ারের গাড়ি উৎপাদন করা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সংস্থা। উল্লেখ্য, বর্তমানে ব্রিটেনে সংস্থার তিনটি কারখানাতেই সবচেয়ে বেশি গাড়ি তৈরি করে জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার।
স্পেথ জানান, ভারতে যে ভাবে ইঞ্জিন, গিয়ার বক্স ইত্যাদি যন্ত্রাংশ আমদানি করে তা জুড়ে গাড়ি তৈরি করে সংস্থা, ঠিক সে ভাবেই ব্রাজিলেও উৎপাদনের কথা ভাবছেন তাঁরা। এর ফলে সেখানকার মানুষকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে পারবে সংস্থা। পাশাপাশি, কারখানা তৈরির পথে এগোনো যাবে বলেও তাঁর দাবি। আর এর ফলেই বাড়বে গাড়ি বিক্রির সংখ্যাও। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালেই এ ভাবে ভারতে গাড়ি তৈরি শুরু করেছে জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার।
তবে ব্রাজিলের ক্ষেত্রে তা শুরু হতে বছর দেড়েক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্পেথ। আর পুরোপুরি কারখানা তৈরি করতে আরও দু’বছর। ছোট গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই ব্রাজিলে নিজেদের কারখানা তৈরি করেছে। কিন্তু বড় বিলাসবহুল গাড়িগুলি এখনও সে দেশে রফতানি করে সংস্থাগুলি। তবে চড়া আমদানি শুল্ক এড়াতে বিভিন্ন সংস্থাই এখন ব্রাজিলে কারখানা তৈরিতে আগ্রহী বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর। জার্মান বিএমডব্লিউ ইতিমধ্যেই পরিবেশ বান্ধব কারখানা গড়তে ব্রাজিল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। তবে তারা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এর সঙ্গেই যুক্ত হল জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভারের নাম। |