|
|
|
|
পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর পূর্ত দফতরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গত পাঁচ বছরে কাজের চাপ বেড়েছে বহুগুণ। অথচ, পূর্ত দফতরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিভিশনে কর্মী সংখ্যা বাড়েনি। বদলায়নি পরিকাঠামো। পরিস্থিতির কথা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছিল দফতরের তরফে। দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র তরুণ চক্রবর্তী বলেন, “পরিকাঠামো উন্নয়নে দোতলা অফিসটি তিনতলা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও ৫ জন ইঞ্জিনিয়র ও কর্মী দিচ্ছে রাজ্য সরকার।”
তবে যে হারে কাজ বাড়ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন প্রয়োজন বলেই দফতরের দাবি। পূর্ত দফতরের এই ডিভিশন মূলত নতুন ভবন তৈরি ও সংস্কারের কাজ করে। ভবন তৈরি করতে হলে পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখভাল প্রয়োজন। নকশাও তৈরি করতে হয় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে। পর্যাপ্ত-সংখ্যক কর্মী বা ইঞ্জিনিয়র না থাকলে ভবিষ্যতে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই আগামী দিনে পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবিও জানিয়েছেন এই ডিভিশনের কর্তারা।
পূর্ত দফতরের এই ডিভিশন তৈরি হয় ১৯৮৩ সালে। মূলত, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরি ও সংস্কারের লক্ষ্যেই এর জন্ম। যদিও পরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়-ই এই দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে। অন্য সংস্থাকে দিয়ে কাজ করানো শুরু হয়। ২০০২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত এই ডিভিশন বছরে মাত্র ৫-৭ লক্ষ টাকার কাজ করেছিল। ২০০৭-’০৮ সালে তা বেড়ে হয় ২৫ লক্ষ টাকা। ২০০৮-’০৯ হয় ১ কোটি। তাতেও দফতর ভর্তুকিতেই চলছিল। কারণ, বর্তমানে দফতরের কর্মী ও ইঞ্জিনিয়রদের বেতন দিতে ও অফিসের যাবতীয় খরচ চালাতেই বছরে ৯০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা খরচ হয়। রাজ্য সরকারের কাজের জন্য আলাদা কোনও অর্থ পায় না দফতর। কেন্দ্রের কাজ করলে ৯ শতাংশ অর্থ পায়। এই পরিস্থিতিতে দফতরের আয় বাড়াতে ২০০৯-এর শেষ দিক থেকে তৎপরতা শুরু হয়। ফলও মেলে। ২০০৯-’১০ সালে ৩ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা, ২০১০-’১১ সালে ৮ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা, ২০১১-’১২ আর্থিক বছরে সাড়ে ২১ কোটি টাকার কাজ হয়। চলতি আর্থিক বছরে ১০০ কোটি টাকারও বেশি কাজ রয়েছে দফতরের হাতে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রকল্পে কলেজ, আইটিআই, স্টেডিয়াম, ছাত্রাবাস, মডেল স্কুল থেকে শুরু করে একাধিক প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পেয়েছে এই দফতর। প্রকল্পগুলির বেশিরভাগই রূপায়িত হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্র্যান্ট ফান্ডে’র টাকায়। ফলে, অর্থ-সঙ্কট কেটেছে। পাশাপাশি বেড়েছে কাজের চাপ। চলতি অর্থবর্ষে চাপ এতটাই বেড়েছে যে বর্তমান পরিকাঠামোয় কুলোচ্ছে না।
বর্তমানে এই ডিভিশনে একটি ডিভিশন অফিস (মেদিনীপুর) ও ৩টি সাব-ডিভিশন (ঝাড়গ্রাম, সালুয়া ও মেদিনীপুর) রয়েছে। ডিভিশন অফিসে একজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র ও ২ জন এস্টিমেটর রয়েছেন। প্রতিটি সাব-ডিভিশনে আছেন ৩ জন করে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র। এতদিন ডিভিশন অফিসে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র বা সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ছিলেন না। সাব ডিভিশনের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রদের দিয়েই কাজ চালানো হত। এ বার কাজ বাড়ায় ডিভিশন অফিসে ১ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র, ২ জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ও আরও ২ জন এস্টিমেটর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই কর্মীদের জন্য তিনতলায় একটি অফিস ঘর তৈরি করা হচ্ছে। এই কর্মীরা কাজ শুরু করলে দফতর অনেকটাই চাঙ্গা হবে বলে আশা।
কলেজে কর্মশালা। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এক কর্মশালা শুরু হল রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে। সোমবার শুরু হওয়া এই কর্মশালা চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত। ইউজিসি-র সহায়তায় আয়োজিত এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিধো-কানু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুমিতা মান্না। ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফ উমেন ম্যানেজার্স ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক এই কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় ৫০ জন শিক্ষিকা যোগ দিয়েছেন। |
|
|
 |
|
|