ইন্দিরা আবাস ও ‘আমার বাড়ি’ যোজনা প্রাপকদের তালিকায় নাম তোলানোর জন্য টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কালিয়াচকের নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ জন গ্রামবাসী লিখিত ভাবে বিডিও-এর কাছে ওই অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান আয়েরা বিবি ওই তালিকায় নাম তোলানোর জন্য টাকা আদায় করেছেন। অভিযোগ, কারও কাছ থেকে ৫ হাজার, কারও থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। উপপ্রধান কিছুদিন আগেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের প্রধান অপসারিত হওয়ার পরে আয়েরা বিবি প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন। আয়েরা বিবির অভিযোগ, “কংগ্রেসের একাংশের মদতে ওই মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তদন্ত হলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।” কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের বিডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে পরের পদক্ষেপ হবে।” অভিযোগকারীদের পক্ষে দিনমজুর জান্নত আলির স্ত্রী সুকরি বিবি ৫ হাজার টাকা উপপ্রধানকে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তাঁর প্রতিবেশী ফরমান আলির দাবি, তিনিও ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। সম্প্রতি বিডিও ওই এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের জানিয়ে দেন, ওই দুটিতে কাউকে একটা টাকাও দিতে হবে না। যদি কেউ টাকা চেয়ে থাকেন, তা হলে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন বিডিও। এর পরেই ৪ জন গ্রমবাসী বিডিওকে লিখিতভাবে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান মনসুর আলি বলেন, “আমি প্রধান থাকার সময়ই উপপ্রধান ইন্দিরা আবাসের টাকা তাড়াতাড়ি পাইয়ে দেবে বলে টাকা তুলেছিল বলে শুনি। কিন্তু কেউ অভিযোগ করেননি বলে ওঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারা যায়নি। আর এখন আয়েরা বিবিই প্রকল্পটি দেখাশুনো করছেন।” মনসুর জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২৪১টি পরিবার বিপিএল তালিকাভুক্ত। ওই তালিকার ভিত্তিতে দুই দফায় ঘর তৈরির টাকা দেওয়া হয়েছে। এবার ৫৪টি পরিবারের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু জমির কাগজপত্র ঠিক না থাকায় ৪৯টি পরিবার ওই টাকা পাবেন। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান আয়েরা বিবি বলেন, “গত ২৮ জুন প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি। আগের প্রধানই দুনীর্তিগ্রস্থ ছিলেন। অপসারিত হওয়ার পর প্রধানও আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন।” এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধান। তাঁর বক্তব্য, “উনি ফেঁসে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” |