বর্ষা শুরু হতেই ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে আরামবাগের কীর্তিচন্দ্রপুরের দক্ষিণপাড়ায়। বুধবার থেকে এই এলাকার প্রায় ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার রাত অবধি আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৬ জনকে।
শুক্রবার সকালে এলাকায় যান আরামবাগের বিধায়ক তৃণমূলের কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত দাসও চিকিৎসক-দল নিয়ে এলাকায় ঘোরেন। অমিতবাবু বলেন, “অনেক আক্রান্তের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে। মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরাও সুস্থ আছেন। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।” |
আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তেরা। ছবি: মোহন দাস। |
এলাকার দু’টি পুকুরের জল দূষিত হওয়ায় ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে বলে মনে করছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। দু’টি পুকুরের জলে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, ওই পাড়ায় থাকা দু’টি মাত্র পানীয় জলের কলও (একটি পঞ্চায়েতের, অন্যটি ব্যক্তিগত) দূষণমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে তিরোল পঞ্চায়েত।
কীর্তিচন্দ্রপুরের দক্ষিণপাড়ায় প্রায় ২৫০ জনের বাস। পঞ্চায়েতের বসানো একটি মাত্র পানীয় জলের কলই ভরসা বাসিন্দাদের। সেটির চাতাল ভেঙে যাওয়ায় উপরের দূষিত জল নীচে ঢুকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কলটি বছর দুয়েক ধরেই অকেজো। পাশাপাশি, ডায়েরিয়া মোকাবিলায় জেলা থেকে ওআরএসের সরবরাহও অপ্রতুল বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্লক ও মহকুমা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। অভিযোগ, মহকুমা হাসপাতালে ওআরএস এবং স্যালাইন একেবারেই নেই। ফলে, তা রোগীদের কিনতে হচ্ছে। মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার অর্ঘ্য সিংহ বলেন, “প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র জেলা থেকে নিয়মিত চেয়ে পাঠানো হচ্ছে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তনিমা মণ্ডল বলেন, “ওষুধের ঘাটতি নেই। সকলেই পেয়ে যাবেন।” |