এসএসকেএম-এ এজেন্টদের জেহাদ, বন্ধ হার্টের ওটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কর্তৃপক্ষের বাধায় অপারেশন থিয়েটারে ঢুকতে না পেরে শুক্রবার এসএসকেএমে হৃদ্রোগীদের স্টেন্ট এবং পেসমেকার সরবরাহ বন্ধ রাখলেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। ফলে চিকিৎসকেরা কার্যত হাত গুটিয়ে বসে থাকতে বাধ্য হলেন দিনভর। দুর্ভোগে পড়লেন অসংখ্য রোগী। এ দিন বিকেলে সুপারের সঙ্গে ওই সব সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। কিন্তু তাতেও কোনও স্থায়ী সমাধানসূত্র মেলেনি বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হাসপাতালে সরঞ্জাম সরবরাহকারীদের প্রবেশাধিকার চেয়ে সুপারকে চিঠি লিখে বিতর্কে জড়িয়েছেন যিনি, সেই চিকিৎসক অরূপ দাস বিশ্বাসকে আগামী সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে ডেকে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এসএসকেএমের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সুপার তমালকান্তি ঘোষ বলেন, “আমরা বারবার অনুরোধ করেছি রোগীদের স্বার্থে তাঁরা যাতে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখেন। ওটির ভিতরে ঢুকতে না দিলেও কার্ডিওলজি বিল্ডিংয়ের নীচে তাঁদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। দেখা যাক ওঁরা কী করেন।” এ দিন সরবরাহ বন্ধ রেখে রোগীদের বিপাকে ফেলার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? সুপার বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত জানিয়েছি।” অভিযুক্ত চিকিৎসক অরূপবাবু বলেন, “রোগীদের সমস্যা এড়াতেই সংস্থার প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলাম। এতে ব্যক্তিগত কোনও স্বার্থ নেই।”
|
বিক্ষোভ মানবাজারে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানবাজার গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন এক প্রসূতির আত্মীয়েরা। প্রসূতির স্বামী স্থানীয় পাথরমহড়া গ্রামের বাসিন্দা সুদর্শন লোহারের অভিযোগ, “প্রসব করানোর সময় গাফিলতির জন্য অসুস্থ সন্তান জন্মায়। গত মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় স্থানান্তর করার পরেই সন্তানটি মারা যায়।” শুক্রবার তাঁরা অভিযোগ জানান। মানবাজারের বিএমওএইচ সুরজিৎ সিং সর্দারের দাবি, “গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়।” |