|
|
|
|
রাস্তা নিয়ে জনস্বার্থে মামলা হল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
হাসিমারা-মাদারিহাট সড়কের পরে এ বার বাগডোগরা-গলগলিয়া ৩১ (সি) জাতীয় সড়ক নিয়েও জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার শিলিগুড়ি মিনিবাস সিন্ডিকেটের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেলের এজলাসে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী লক্ষ্মীপতি জানা। প্রসঙ্গত, হাসিমারা-মাদারিহাটের বেহাল পরিস্থিতি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সঙ্গেই এদিন শিলিগুড়ি মিনিবাস সিন্ডিকেটের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলারও শুনানি হয়। এ দিন দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক, জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ, রাজ্য সরকার, পূর্ত দফতর থেকে শুরু করে প্রশাসনের সমস্ত মহলে রাস্তা মেরামতির ব্যাপারে চিঠি দিলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিলিগুড়ি মিনিবাস সিন্ডিকেটের আইনজীবী বলেন, “প্রধান বিচারপতি আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।” হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসিমারা-মাদারিহাট বেহাল সড়ক নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় এদিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হলফনামা পেশ করা জানানো হয়, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাস্তাটি মেরামত করে দেওয়া হবে। তবে এদিনের দায়ের করা মামলা সম্পর্কে এখনও কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক-৯ বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র নির্মল মণ্ডল এবং জাতীয় মহাসড়ক কতৃর্পক্ষের শিলিগুড়ির আধিকারিক পঙ্কজ মিশ্র। নির্মলবাবু বলেন, “বাগডোগরা গলগলিয়া রাস্তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা সম্পর্কে এখনও সরকারি ভাবে কোনও খবর পাইনি। আদালত নির্দেশ দিলে সময়মতোই আমাদের বক্তব্য জানাব।” অন্যদিকে, পঙ্কজবাবু বলেন, “বাগডোগরা-গলগলিয়া ৩১ (সি) জাতীয় সড়ক আমরা দেখি না। এটি রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের বিষয়। আদালত ডাকলে আমাদের আধিকারিকেরা গিয়ে এ কথাই বলবেন।” হাসিমারা-মাদারিহাট সড়কের মতোই দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। এ বার বর্ষায় রাস্তাটি এতটাই বেহাল হয়ে পড়ে যে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়। রাস্তায় দুর্ঘটনা প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপাকে পড়েছেন বাস চালক এবং মালিকেরাও। প্রতিদিনই মাঝপথে বাস বিকল হয়ে পড়ায় চালক এবং মালিকদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সম্প্রতি শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তবের হস্তক্ষেপে মহকুমার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন রাস্তার গর্ত বোজানোর জন্য বালি পাথর সরবরাহ করায় কাজে নেমেছে পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক ৯ বিভাগ। শিলিগুড়ি মিনিবাস সিন্ডিকেট সম্পাদক মৃণাল সরকার বলেন, “যে সমস্ত সংগঠন গর্ত বোজানোর কাজে বালি পাথর সরবরাহ করেছে তার মধ্যে আমাদের সংগঠনও রয়েছি। কিন্তু এটা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। সে জন্যই মামলা করার আগে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ দফতর, জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ, পূর্ত দফতর থেকে শুরু করে সমস্ত মহলে চিঠি দিয়ে রাস্তা মেরামতির আর্জি জানাই। ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জনস্বার্থ মামলা ছাড়া উপায় ছিল না।” |
|
|
|
|
|