|
|
|
|
স্কুলে দুর্ঘটনা শিলিগুড়িতে |
কমিশনারের থেকে রিপোর্ট তলব মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বছরের পর বছর ধরে শিলিগুড়ি হিন্দি বালিকা বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার করা না হওয়ায় ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। ভূমিকম্পের পর সেই ভবনের অবস্থা আরও খারাপ হয়। সেই ভয় থেকেই ছাত্রছাত্রীরা বৃহস্পতিবার ছাদের চাউর খসে পড়ার আওয়াজে ভয় পেয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ছাত্রীরা জখম হয় বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। শুক্রবার ওই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বিষয়টি শিক্ষা দফতরকে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাচক্রে, উত্তরবঙ্গেই রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি সব জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য শিক্ষা দফতরের স্কুল বিষয়ক কমিশনার শিলিগুড়ির ডিআইয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। শিলিগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শক সঞ্জীব কুমার ঘোষ বলেন, “কমিশনারকে সব জানিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব স্কুল ভবন সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।”পাশাপাশি ভূমিকম্পের পর স্কুলের ওই ভবন পরিদর্শন করে সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ করার পরও তা কেন সংস্কার করা হয়নি, এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। তিনি শিলিগুড়ির মহকুমাশাসককে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। রুদ্রবাবু বলেন, “ভূমিকম্পের পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে ভবন সংস্কারের জন্য আর্থিক সাহায্য করা হয়। তা দিয়ে কেন কাজ করা হয়নি। কোনও সমস্যার কথাও আমাদের জানানো হয়নি। মহকুমাশাসককে বলেছি বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।” জখম ছাত্রীরা কেমন রয়েছে, তা নিয়ে এদিন খোঁজ নেন রুদ্রবাবু। তিনি জানান, তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। ৫ জনকে ছুটি দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। একজন এখনও ভর্তি রয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ওই ভবনে দুটি স্কুল চলছে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হাইস্কুল চলে। ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুল হয়। স্কুল ভবন সংস্কারের জন্য হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ২ লক্ষ টাকা রয়েছে। প্রাথমিক স্কুলের কাছে অতিরিক্ত ক্লাসরুম নির্মাণের জন্য ৬ লক্ষের কিছু বেশি টাকা বহুদিন পড়ে রয়েছে। দুই স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে রেষারেষির জেরে কেউ ভবন সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে॥ দেহ-সহ ধৃত। অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ ফেলে রেখে পালাতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক যুবক। শুক্রবার সকালে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, সকালে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অজ্ঞাত পরিচয় মহিলাকে নিয়ে আসেন তিন যুবক। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মহিলা মৃত বলে ঘোষণা করতেই ওই যুবকেরা পালানোর চেষ্টা করেন। দুই জন পালিয়ে গেলেও বাসিন্দারা এক জনকে ধরে ফেলেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সম্ভবত বিষক্রিয়ায় ওই মহিলার মৃত্যু হয়। দেহটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ধরা পড়া যুবক আবার মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “মৃতার পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে। ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|