|
|
|
|
দ্বিতীয় বিয়ে |
বৌভাতের আসরে গ্রেফতার নেতার ভাইপো |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ফের দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগ। এ বার বৌভাতের আসর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন দার্জিলিঙের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ কৃষ্ণবাহাদুর ছেত্রীর ভাইপো রমেশ ছেত্রী। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি থানার পানিট্যাঙ্কি মোড়ে পুরসভার একটি অতিথি নিবাসে। পুলিশ জানায়, রমেশের বাড়ি কার্শিয়াঙের দিলারামে। তিনি বর্তমানে শিলিগুড়ির হংকং মার্কেট লাগোয়া এলাকায় খাবারের হোটেল চালান। ওই ঘটনার পরে শহরের কংগ্রেস নেতাদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করেন। প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমানে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি (পাহাড়) কৃষ্ণবাহাদুরও ছেত্রীও শিলিগুড়ি থানায় যান। থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “এটা একেবারেই পারিবারিক ব্যাপার। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এর বেশি আমি কিছু বলব না।” দিন কয়েক আগে কলকাতায় একই রকমের ঘটনা ঘটে। প্রথম স্ত্রী পূজা কৌরের অভিযোগের ভিত্তিতে বিয়ের আসর থেকেই গ্রেফতার করা হয় স্বামী রাজেশ গিরি ও শ্বশুর কৃষ্ণভগবান গিরিকে। পুলিশসূত্রের খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন-সহ নানা অভিযোগ মিলেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে রমেশের দিদিকেও। ১৯৯৬ সালের ১ নভেম্বর রমেশের সঙ্গে কার্শিয়াংয়ের বাসিন্দা হেমা ছেত্রীর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। হেমা এ দিন শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ করেন, বিয়ের এক বছর পর থেকে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন রমেশ। তিনি কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় স্বামীসহ পরিবারের লোকেরা তাঁকে পছন্দ করতেন না।
পাশাপাশি তিনি পুলিশকে জানান, তাঁর স্বামী এ দিন তিনধারিয়ার এক তরুণীকে বিয়ে করছেন। অভিযোগ পেয়ে শিলিগুড়ি পুলিশের একটি দল হেমা ও তাঁর আত্মীয়দের নিয়ে বিয়ের আসরে হানা দেয়। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হলে পুলিশ রমেশকে গ্রেফতার করে। রমেশের পরিবারের দাবি, রমেশের সঙ্গে বহু আগেই হেমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। তাঁরা আলাদা থাকতেন। থানায় দাঁড়িয়ে রমেশ দাবি করেন, দ্বিতীয় বিয়ের আগে তিনি প্রথমস্ত্রীর অনুমতি নিয়েছেন। রমেশের এক ভাই বলেন, “বহুদিনই রমেশ একা থাকেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল না।” হেমা জানান, তাঁকে দ্বিতীয় বিয়ের কথা কেউই জানাননি। তিনি বলেন, “সবই লুকিয়ে হচ্ছিল। আমি খবর পেয়ে শিলিগুড়ি আসি। শুনি বৌভাতের আসর বসছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজন ও পুলিশকে নিয়ে সেখানে যাই।” |
|
|
|
|
|