কেশপুরে তরজায় সিপিএম-তৃণমূল |
হামলার আশঙ্কা, ফের বন্ধ পার্টি অফিস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কেশপুর |
হামলার আশঙ্কায় কেশপুরের আনন্দপুরে তাদের লোকাল কমিটির অফিসটি ফের বন্ধ করল সিপিএম। মঙ্গলবার মিছিল করে গিয়ে ১৪ মাস ধরে বন্ধ থাকা ওই পার্টি-অফিস খুলেছিলেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার সকালে সেই অফিসের মূল-ফটকে ফের তালা পড়েছে। অফিসের মধ্যে যে কর্মী-সমর্থকেরা গত তিন দিন ছিলেন, তাঁরাও বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার কর্মী-সমর্থকদের প্রবল উল্লাসের মধ্যে ওই অফিসের সামনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন কেশপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নন্দরানি ডল। কেশপুর ও আশপাশে বন্ধ থাকা পার্টি-অফিসগুলি ফের খোলা হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন। পুলিশি নজরদারিতে মঙ্গলবারের কর্মসূচি মিটলেও পরদিন থেকেই উত্তেজনার সূত্রপাত বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। |
|
আনন্দপুরে তালাবন্ধ সিপিএম কার্যালয়। —নিজস্ব চিত্র |
বুধবার বিকেলে ওই এলাকায় পাল্টা মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিল থেকে বোমা-পটকা ফাটানো হয়, ক্রমাগত হুমকি-শাসানিও চলছিল বলে অভিযোগ সিপিএম-শিবিরের। বুধবার রাতে তৃণমূলের লোকজনের হাতে মোহন সামন্ত ও পার্থ রায় নামে দু’জন সিপিএম কর্মী প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। আনন্দপুরের পার্টি অফিস বন্ধ না করলে এলাকা ছাড়তে হবে বলেও দলীয় সমর্থকদের শাসানো হচ্ছিল বলে সিপিএমের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কেশপুরের তৃণমূল নেতারা আবার অভিযোগ করেন, আনন্দপুরের ওই পার্টি অফিসে বাইরের লোক এনে অশান্তি বাধাতে চাইছে সিপিএম। ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তাঁরা।
নন্দরানিদেবীর বক্তব্য, “শুক্রবার তৃণমূলের লোকজন নানা জায়গায় জড়ো হয়ে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে খবর আসে। তার পরেই আনন্দপুরের পার্টি অফিস ফের বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের বক্তব্য, “পরিস্থিতি বুঝে আমাদের এগোতে হচ্ছে। কখনও অফিস খোলা থাকবে, কখনও বন্ধ থাকবে।” যদিও হুমকি-শাসানি বা হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য আশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, “স্থানীয় মানুষের সমর্থন না-পেয়েই সিপিএম ওই অফিস বন্ধ করে দিয়েছে বলে শুনেছি। এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নানা প্রচার চলছে।” |
|