|
|
|
|
জমি নিয়ে বিবাদ খড়্গপুরের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জমি নিয়ে বিবাদ দেখা দিল খড়্গপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার এতবারপুর গ্রামে। সুশান্ত সামন্ত নামে এক ব্যক্তির দাবি, তিনি খড়্গপুর-২ ব্লকের ঘোড়াইগেড়্যা, এতবারপুর, ষাঁড়াশিপুর মৌজার কয়েক একর জমি কিনেছেন। সেই জমিতে নতুন প্রকল্প তৈরি করতে চান। বর্তমানে ওই জমি কয়েকজন মিলে ‘বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছে’ বলে তাঁর অভিযোগ। অন্য পক্ষের দাবি, ওই মৌজার জমিতে ৭২ জন চাষি পুরুষানুক্রমে চাষ করে আসছেন। বর্গা-রেকর্ডের জন্য আবেদনও জানিয়েছেন। তাই তাঁরা জমি ছাড়বেন না। জমি না পাওয়ায় খড়্গপুরের মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান সুশান্তবাবু। মহকুমাশাসকের নির্দেশে শুক্রবার খড়্গপুর-২ ব্লকের বিডিও সোমা দাস দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। বিডিও বলেন, “দু’পক্ষের কথা শুনেছি। দু’পক্ষকেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। রিপোর্ট মহকুমাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তিনিই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।” মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী বলেন, “রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
জমি নিয়ে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের, খড়্গপুরে |
এলাকাবাসীর দাবি, যে জমিটি সুশান্তবাবু কিনেছেন তা এলাকার ব্যক্তিরাই বহু বছর আগে সিদ্ধেশ্বরী গ্রুপের মালিক সুজিত সামন্ত ও অজিত সামন্তকে বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনও প্রকল্প না করায় সেটি গ্রামের মানুষই দখল করে পুরুষানুক্রমে চাষ করে আসছেন। বর্তমানে জমিটি সুশান্ত সামন্ত নামে এক ব্যক্তিকে বিক্রি করেছেন সিদ্ধেশ্বরীর মালিকরা। এ বার সুশান্তবাবু ওই জমিতে ভার্মি-কম্পোস্ট তৈরির প্রকল্প করতে চান বলে এলাকার মানুষকে জমি ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানান। এলাকার মানুষ আর জমি ছাড়তে রাজি নন। স্থানীয় বাসিন্দা রাধারানি সিংহ, পিরু হাঁসদা, তারাপদ সামন্তরা জানিয়েছেন, “আমরা গরিব মানুষ। জমি ছেড়ে দিলে খাব কী? আমরা জমির বর্গা-রেকর্ডের দাবিও জানিয়েছি।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে বাসিন্দাদের পক্ষ নিয়ে বলেন, “জোর করে কাউকেই উচ্ছেদ করা যায় না। প্রশাসন ও রাজ্য সরকারকে বিষয়টি ভেবে দেখার আবেদন জানাব।” |
|
|
|
|
|