টানা দু’সপ্তাহ পরে নেপাল থেকে ফিরল প্রায় ৭০টি বুনো হাতির একটি পাল। বৃহস্পতিবার ২৫টি হাতির দল মেচি পেরিয়ে নকশালবাড়ির কলাবাড়ির জঙ্গলে ফেরে। শুক্রবার ভোরে আরও ৪৫টি হাতি মেচি নদী পার করে ধুলিয়া, বেলগাছি চা বাগানের ভিতর দিয়ে কলাবাড়ির জঙ্গলে ফিরেছে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে কার্শিয়াং বন বিভাগের কর্তারা। পালটি কলাবাড়ির জঙ্গলে ঢোকার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে কোনও বাধা না-দেন সে জন্য কার্শিয়াং বন বিভাগের পানিঘাটা রেঞ্জের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়। বাসিন্দাদের সংযত রাখতে এলাকায় যান নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ঘোষ। কার্শিয়াঙের ডিএফও শৈলেশ আনন্দ বলেন, “বেশির ভাগ হাতিই ফিরেছে বলে খবর পেয়েছি। হাতির পাল দ্রুত মহানন্দায় ফেরাতে উদ্যোগী হব।” বনকর্তারা জানতে পেরেছেন আরও অন্তত ১৫টি বুনো হাতি এলাকায় রয়েছে। সেগুলিকে কী ভাবে ফেরানো যায় সে ব্যাপারে বনকর্তারা নেপালের বনাধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যে সমস্ত হাতি ফিরেছে তার মধ্যে জখম হাতি রয়েছে কি না তাও দেখা হচ্ছে। জখম হাতির খোঁজ পেলে দ্রুত সে গুলির চিকিৎসা হবে বলে ঠিক হয়েছে। একটি জখম দাঁতাল-সহ ৭০-৮০টি বুনো হাতির দল ২৮ জুন নেপালে ঢোকে। দলটিকে নকশালবাড়িতে ফেরাতে দাবি ওঠে পরিবেশপ্রেমী মহলে। ১১ জুলাই কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের উদ্যোগে দিল্লিতে এই ব্যাপারে নেপালের বনকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজনও হয়। যদিও পরে ওই বৈঠক বাতিল হয়। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “কেবল দলটিকে মহানন্দায় ফেরালেই হবে না, কোনও হাতি জখম কি না তাও পরীক্ষা করে দেখা দরকার।” |