|
|
|
|
শহিদ দিবসের প্রস্তুতি দেখতে এসে
কার্যত নির্বাচনী প্রচারই করলেন পার্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
এসেছিলেন আগামী ২১ জুলাই শহীদ দিবসের প্রস্তুতি দেখতে দলীয় কর্মী সম্মেলনে। পরিবর্তে ওই মঞ্চ থেকেই শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীদের সমালোচনা ও রাজ্যের সাফল্য নিয়ে প্রচার করে গেলেন শিল্পমন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ দিন চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবন কার্যত প্রচারসভা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
হুগলিতে সভায় এসে স্বাভাবিক ভাবেই পার্থবাবু এ দিন টেনে আনেন সিঙ্গুর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে এখন কিছু কিছু ছবি ছাপানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সিঙ্গুরে চাষিরা আর আন্দোলন করবেন না, গাড়ি কিনবেন। তৃণমূল চাষিদের জমি ফেরত দিতে পারবে না। এর আগে রাজ্য সরকার যখম সিঙ্গুর নিয়ে মামলা জিতল তখন কেউ টুঁ শব্দ করেননি। আর এখন হাইকোর্ট যখম অন্য কথা বলল, তখন মিথ্যেকান্ত সূয্যিমামা হঠাৎ জেগে উঠলেন।”
বিরোধীনেতাকে আক্রমণ করে পার্থবাবু বলেন, “তাপসী মালিককে ওঁর দলের লোকেরা ধষর্ণ করে খুন করেছিল। চাষিদের জমি ছিনিয়ে নিয়ে যাঁরা তাঁদের মুখের ভাত কেড় নিয়েছিল তাঁদের মুখে এ সব মানায় না। সবার আগে সিঙ্গুরের মানুষের কাছে গিয়ে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ওঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।” শিল্পমন্ত্রীর মন্তব্য, “২১ জুলাই শহিদদের প্রতি আমাদের তর্পণের দিন। |
|
চুঁচুড়ায় দলীয় কর্মী সম্মেলনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। ছবি: প্রকাশ পাল। |
তিনি আরও বলেন, “সিঙ্গুরের চাষিদের পাশে তৃণমূল ছিল, আছে, থাকবে। রাজ্য সরকার সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষিদের জমি ফেরত দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সিঙ্গুরে শিল্পের জায়গায় শিল্প হবে। অনিচ্ছুক চাষিদের জমিও ফেরত দেওয়া হবে। রেল, সেইল ওখানে কারখানা করতে প্রস্তুত। যদিও কোনও কোনও টিভি চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে কিছু ডেঁপো, জনবিচ্ছিন্ন নেতা প্রতিদিন লম্বা-চওড়া ভাষণ দিচ্ছেন। যাঁদের আশেপাশে জনগণকে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
অনিচ্ছুক চাষিদের নিয়ে সিপিএমের সদিচ্ছাকে কটাক্ষ করে পার্থবাবু বলেন, “সিঙ্গুরে মমতার অনশন মঞ্চ থেকে আমি আমাদের লিখিত প্রস্তাব (শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি নিয়ে বাকিটা অনিচ্ছুক চাষিদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক) নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সিপিএম সেই সময় কিছু করেনি। মানুষই তার জবাব দিয়েছে। শুধু হুগলি নয়, রাজ্য থেকেই সিপিএমকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।”
সরকারের সাফল্য জানাতে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “গত ১৪ মাসে আমরা কী কাজ করেছি তা মানুষ দেখেছেন।
রাজ্যে শিল্পের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে শিল্প আসছে। এক লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি হতে চলেছে। এখানে শিল্প গড়তে অন্য রাজ্যের শিল্পপতিরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন।” এ দিনের সভায় পার্থবাবু ছাড়াও ছিলেন, কষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ প্রমুখ। |
|
|
|
|
|