|
|
|
|
জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা |
ছাড়পত্রহীন বিশাল গুদাম পুড়ে ছাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কুড়ি হাজার বর্গফুটের বিশাল গুদাম। অথচ অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা কার্যত নেই! এমনকী ছিল না দমকলের ছাড়পত্রও। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাট এলাকায় বহুজাতিক বস্ত্র সংস্থার ওই গুদামের
অগ্নিকাণ্ড এই সব গাফিলতি বেআব্রু করে দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে এ কথা জানান দমকলকর্তারা।
দমকল জানায়, সন্ধ্যা পৌনে ৭টা নাগাদ ওই গুদামে আগুন লাগে। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন রাত ১০টা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গুদামটি পুরো ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে হতাহতের খবর নেই। রাতে এলাকায় যান দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান এবং কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। পরে দমকলমন্ত্রী বলেন, “গুদামটি কার্যত জতুগৃহ ছিল। মালিকের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা করা হবে।” আগুন লাগার পরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন করা হয় র্যাফ।
|
|
হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাট এলাকায় জ্বলছে কাপড়ের গুদাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুমন বল্লভের তোলা ছবি। |
লোহার খাঁচার উপরে টিনের ছাদ দিয়ে তৈরি হয়েছিল গঙ্গাপাড়ের ওই গুদাম। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গুদামটি দাউদাউ করে জ্বলছে। ভেঙে পড়েছে টিনের চাল। প্রচণ্ড তাপে লোহার কাঠামোও বেঁকে গিয়েছে। বাইরে রাস্তায় কয়েকশো মানুষের ভিড়। দমকলের ইঞ্জিনের সঙ্গে সঙ্গেই গঙ্গা থেকে পাম্প দিয়ে জল তুলে আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
পুলিশ ও দমকল সূত্রের খবর, সন্ধ্যায় গুদামের স্টোররুমের পিছন থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে দেখেন কয়েক জন কর্মী। আধ ঘণ্টার মধ্যে পুরো গুদামে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই কর্মীরা জানান, গুদামে থাকা পাঁচটি
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলেও তা কাজে আসেনি। বিপদ ঘটতে পারে বুঝে তার পরেই গুদাম ছেড়ে পালিয়ে যান কর্মীরা। দমকল সূত্রের খবর, গুদামের ভিতরে কাডবোর্ডের বাক্স ডাঁই করা ছিল। সেখানেই প্রথমে আগুন লাগে।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ওই গুদামের মালিক সঞ্জয় বাগাড়িয়া বলেন, “খবর পেয়েও দমকল অনেক দেরিতে এসেছে। তার উপরে গাড়িতে জল নেই। তাই অনেক সমস্যা হয়েছে। চোখের সামনে গুদামটা ছাই হয়ে গেল।” যদিও সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ অস্বীকার করে দমকলের ডেপুটি ডিরেক্টর (পশ্চিমাঞ্চল) বিভাস গুহ বলেন, “খবর পেয়েই দমকল চলে এসেছে। প্রয়োজনমতো বাড়ানো হয়েছে ইঞ্জিনের সংখ্যাও। গঙ্গা থেকেও জল তোলা হয়েছে।” কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপবাবু বলেন, “ঘটনাস্থলের কাছেই একটা জায়গায় ছিলাম। আগুনের শিখা দেখতে পেয়েই চলে এসেছি। দমকলকর্মীরাও খুব ভাল কাজ করেছেন।” রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী। তিনি জানান, গুদামটিতে কী ভাবে আগুন লাগল, তা জানার জন্য ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। |
|
|
|
|
|