দু’টি ট্রেনে আগুন জোধপুরে, আঙুল দালাল চক্রের দিকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ব্যবধান ঘণ্টা দেড়েকের। জোধপুর স্টেশনেই দু’টি ট্রেনে আগুন লাগল আজ। দু’টিই যাত্রাশেষে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল স্টেশনে। আগুন নজরে আসে ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময়। ফলে কেউ হতাহত হননি। একই স্টেশনে পরপর দু’টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেল মন্ত্রকের সন্দেহ, এটা নাশকতা। তবে কোনও জঙ্গি সংগঠন নয়, অভিযোগের আঙুল উঠছে টিকিটের দালাল চক্রের দিকে। |
|
জ্বলছে ম্যান্ডোর এক্সপ্রেস। শুক্রবার। ছবি: পিটিআই |
তৎকাল পরিষেবায় দালালদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে সম্প্রতি কড়া পদক্ষেপ করেছে রেল মন্ত্রক। বদলে দেওয়া হয়েছে তৎকাল টিকিট বিক্রির সময়। কাউন্টারে বসছে ক্যামেরা। দালালদের সঙ্গে টিকিট সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীদের যোগসাজশ ঠেকাতে তাঁদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। এর ‘প্রতিবাদ’ জানাতেই আগুন লাগানো হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও রাত পর্যন্ত আগুন
লাগার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি রেলের তরফে।
বান্দ্রা থেকে জোধপুর-সূর্যনগর এক্সপ্রেস গন্তব্যে পৌঁছেছিল সকাল সাড়ে ছ’টায়। ঘন্টা তিনেক পর ট্রেনটি ইয়ার্ডের দিকে রওয়ানা দিতেই দেখা যায় আগুন ধরেছে তৃতীয় শ্রেণির বাতানুকূল কামরায়। ছুটে যান স্টেশনের রেলকর্তারা। আসে দমকল। বড় কোনও ক্ষতি হওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।
দেড় ঘন্টার মধ্যে একই ঘটনা ঘটে দিল্লি-জোধপুর-ম্যান্ডোর এক্সপ্রেসে। শেষ স্টেশন জোধপুরে সকাল ৭টা নাগাদ পৌঁছেছিল ট্রেনটি। বেলা ১০.৫৩ মিনিটে সেটিকে ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখা যায় ধু-ধু করে জ্বলছে বাতানুকূল প্রথম শ্রেণির কামরা। ফের দমকলের সাহায্যে আগুন নেভানো হয়।
দু’টি অগ্নিকাণ্ডের পিছনে নাশকতার ছক রয়েছে কি না দেখতে এ দিনই তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে উত্তর-পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ললিত ভোরা জানিয়েছেন, দু’টি ক্ষেত্রেই আগুন লেগেছিল বেড রোল রাখার জায়গায়। রেল মন্ত্রক সূত্রের দাবি, এর পিছনে স্পষ্ট নাশকতার ছক রয়েছে। ট্রেন দু’টি স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। সেই ফাঁকে কেউ আগুন লাগিয়ে নেমে গিয়েছে। |
|