|
|
|
|
জয়েন্ট এন্ট্রান্স কেলেঙ্কারি |
কংগ্রেসের ডাকা বন্ধে অচল ত্রিপুরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
জয়েন্ট এন্ট্রান্স কেলেঙ্কারিকে সামনে রেখে কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকা বারো ঘণ্টার ত্রিপুরা বন্ধে অচল হয়ে গেল সারা রাজ্য। ব্যাহত হল স্বাভাবিক জনজীবন। বন্ধের জেরে স্কুল, কলেজ, বাজার-হাট, দোকান, ব্যাঙ্ক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সবই কার্যত বন্ধ ছিল। ট্রেন, বাস, অটো, এমনকী রিকশাও চলেনি। রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। রাজ্যের সচিবালয়ে কিছু কর্মী অবশ্য উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের কোনও কোনও অংশে বন্ধ সমর্থকদের সঙ্গে শাসক বাম সমর্থকদের কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও সার্বিক ভাবে বন্ধ শান্তিপূর্ণই ছিল।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মূল্যায়ণ নিয়ে অভিযোগ ওঠায় গৌহাটি হাইকোর্টের আগরতলা সার্কিট বেঞ্চ ওই পরীক্ষার সমস্ত খাতা আটক করার নির্দেশ দেয়। গত বছরও এই জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নিয়ে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। গত বছরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভরত কংগ্রেস সমর্থকদের উপর পুলিশ গুলিও চালায়। সেই ঘটনায় পাপাই সাহা নামে এক কংগ্রেস সমর্থকের মৃত্যু হয়। এ বারেও জয়েন্ট এন্ট্রেন্স নিয়ে একই ধরণের অভিযোগে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী অনিল সরকার জানিয়েছেন, হাইকোর্ট যে রায় দেবেন সরকার তা মেনে নেবে। তবে কংগ্রেস এই ঘটনাকে সহজে যে ছাড়বে না তা প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ আর সাত মাসের মধ্যে, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। রাজ্যে ভোটের দামামা কার্য বেজেই গিয়েছে। |
|
বন্ধে স্তব্ধ ত্রিপুরা বিধানসভা ও সচিবালয়ে যাওয়ার রাস্তাও। আগরতলায় উমাশঙ্কর রায়চৌধুরীর ছবি। |
‘নৈতিক’ ভাবে বনধের বিরোধিতা করেছে শাসক দল সিপিএম-সহ বামপন্থী ১০টি ছাত্র সংগঠন। তবে সক্রিয়ভাবে তারা বন্ধ বিরোধিতায় রাস্তায় নামেনি। কংগ্রেসের মুখপাত্র রতন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “রাজ্যে ‘মেধা কেলেঙ্কারি’র প্রতিবাদ করে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রাজ্যবাসী আজকের বন্ধকে সমর্থন করেছেন।” তাঁর অভিযোগ, সদরের প্রতাপগড়ে কংগ্রেস নেতা অমিত কুমার সাহা, খয়েরপুর সংলগ্ন বণিক্য চৌমুহনিতে যুব কংগ্রেস নেতা সুনীল দেব, গোপীনাথ দাস বন্ধ বিরোধীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণে শান্তিরবাজারে শাসক দলের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আট জন কংগ্রেস কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও করবুক, বিলোনিয়াতেও বন্ধ সমর্থক এবং বন্ধ বিরোধীদের মধ্যে কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিলোনিয়ায় একটি পঞ্চায়েত অফিস খোলা নিয়ে বন্ধ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ জন।
এ দিকে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব অভিযোগ করেন, জিরানিয়া থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স রোগী নিয়ে সকালে আগরতলার দিকে আসছিল। অ্যাম্বুলেন্সটিকে বাধা দেওয়া হয়। বন্ধ সমর্থকদের আক্রমণে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোগীকে জিরানিয়া হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সারা রাজ্যে আজ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে ৩,৬৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|