দেওঘর রামকৃষ্ণ মিশন
উঁচু ক্লাসের ছাত্রদের হাতে প্রহৃত পড়ুয়া হাসপাতালে
দেওঘর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রাবাসে, দশম শ্রেণির একদল ছাত্রের হাতে প্রচণ্ড মার খেয়ে গুরুতর জখম হল নবম শ্রেণির এক ছাত্র। জখম ছাত্রের নাম শ্বেতার্ক ভৌমিক।
পরে তার বাবা-মা ছেলেকে কলকাতায় এনে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। দেওঘর মিশন কর্তৃপক্ষ কোনও কথা না বললেও বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কয়েকজন অভিযুক্ত ছাত্রকে এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পাশাপাশি, বেলুড় মঠ থেকে দেওঘর কর্তৃপক্ষের কাছে বিশদ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানানো হয়েছে। এ দিকে, শ্বেতার্কের বাবা-মা পূর্ব যাদবপুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন।
কোলাঘাটের ছেলে শ্বেতার্কর বাবা, প্রবীর ভৌমিক পেশায় চিকিৎসক। প্রবীরবাবুর অভিযোগ, গত ৫ জুলাই মিশনের ছাত্রাবাসে প্রচণ্ড মার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে শ্বেতার্ক। মিশন কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি ওকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত ৭ জুলাই বৈদ্যনাথ ধামে পুজো দিতে গিয়ে শ্বেতার্কের মা, স্বাতী দেবী ছেলেকে দেখতে মিশনে যান। মিশনে গিয়ে তিনি জানতে পারেন অসুস্থ শ্বেতার্ক হাসপাতালে ভর্তি। সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বাতী দেবী । পরে মিশন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়ে, অনুমতি নিয়ে তিনি ছেলেকে নিয়ে সোজা কলকাতায় চলে যান। কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৯ জুলাই শ্বেতার্ককে ভর্তি করা হয়।
ছেলের মুখে সব শুনে ৯ জুলাই পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেন শ্বেতার্কের বাবা। প্রবীরবাবু জানান, ৫ জুলাই ছাত্রাবাসে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল শ্বেতার্ক। তা শ্বেতার্ক জানায় দশম শ্রেণির ছাত্র অমিত সাহাকে। তার পরই ঘটনা মুখে মুখে ছড়ায়। প্রবীরবাবুর অভিযোগ, “ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় দশম শ্রেণির জনা দশেক ছাত্র অকথ্য অত্যাচার চালায় শ্বেতার্কের উপরে। নীল ডাউন করে হাত-বেঁধে শ্বেতার্ককে মারধর করে। লাথির আঘাত লেগেছে তার অণ্ডকোষে। বড় রকমের আঘাত লেগেছে ওর কানের পর্দায়। পিঠে, বুকে কালশিটে পড়ে গিয়েছে।” আজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে: চিকিৎসক অমিত রায়ের অধীনে শ্বেতার্ক ভর্তি হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চোট ছিল। এ ছাড়া শ্বেতার্কের কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে এখন সে তুলনামূলক ভাবে ভাল আছে। ১১ জুলাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.