|
|
|
|
কংগ্রেস বিরোধিতার সুর চড়ালেন কারাট |
রাহুল ‘সমাজবাদী’ হলে তবেই সমর্থন করবে সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের ‘সম্পর্কের অবনতিকে উস্কে দিতেই’ তাঁরা প্রণব মুখোপাধ্যায়কে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন করেছেন বলে দলের ভিতরে-বাইরে বারবার বলছেন প্রকাশ কারাট। কিন্তু এর ফলে সিপিএম কংগ্রেসের লেজুড়বৃত্তি করতে শুরু করেছে, এমন বার্তা যেতে পারে বলে যথেষ্ট চিন্তিত সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। তাই কংগ্রেস বিরোধিতার সুর চড়িয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনের পরে তাদের সমর্থনের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। কারাটের কথায়, “কংগ্রেসকে সমর্থনের কোনও প্রশ্নই নেই যদি না রাহুল গাঁধী নিজেকে সমাজবাদী বলে ঘোষণা করেন এবং নতুন আর্থিক নীতি নিয়ে আসেন!”
কারাট ভালই জানেন, সিপিএম কংগ্রেসের লেজুড়বৃত্তি করছে, এমন বার্তা গেলে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হবে। সেই কারণেই রাষ্ট্রপতি পদে ব্যক্তি প্রণববাবুকে সমর্থন করলেও উপরাষ্ট্রপতি পদে কোনও কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থনের বিষয়ে দলের অনিচ্ছার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন কারাট। হামিদ আনসারিকে সমর্থন করলে সিপিএম ফের ইউপিএ-র প্রার্থীকেই সমর্থন করছেন বলে বার্তা যেতে পারে নানা মহলে। কিন্তু বাম নেতাদের যুক্তি, আনসারি তো গত বারই তাঁদের প্রার্থী ছিলেন। এ বারেও তাঁকে সমর্থন করলে তাই কোনও ভাবেই কংগ্রেস বা ইউপিএ-র প্রার্থীকে সমর্থন করা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে কোনও ভাবেই কংগ্রেসের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতার বার্তা দিতে চাইছেন না সিপিএম নেতৃত্ব। একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও কারাট সে কারণেই কংগ্রেসকে সমর্থনের সম্ভাবনার কথা খারিজ করে দিয়েছেন।
প্রথম ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করেছিলেন বামেরা। তাঁদের যুক্তি ছিল, বিজেপিকে কেন্দ্রে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এলে সিপিএম তথা বামেরা কংগ্রেসকে ফের সমর্থন
করবে কি? এই প্রশ্নের জবাবেই রাহুল গাঁধীকে ‘সমাজবাদী’ হওয়ার শর্ত চাপিয়েছেন কারাট। যা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
কারাট মনে করছেন, আঞ্চলিক দলগুলির উত্থান জাতীয় রাজনীতিতে খুবই ইতিবাচক হলেও তাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্তরে একটি ফ্রন্ট গড়ে তোলা কঠিন। এবং ‘অবাস্তব’। অথচ গত লোকসভা নির্বাচনেও তিনি এই আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়েই তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন! এ দিন অবশ্য সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুলায়ম সিংহ যাদব জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চাইছেন। এক সময় বামেদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন মুলায়ম। অথচ পরমাণু চুক্তিতে বামেরা সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর আস্থা ভোটে শেষ মূহূর্তে কংগ্রেসকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। এ বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রথমে মমতার পাশে থেকে পরে ডিগবাজি খেয়ে কংগ্রেসকেই সমর্থন করেছেন। মুলায়ম নিয়ে প্রশ্নে তাই কারাটের সহাস্য জবাব, “উনি আসলে ভাবেন ওঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় বড় রকম
সম্ভাবনা আছে!” |
|
|
|
|
|