|
|
|
|
বন্যা মোকাবিলায় বিহারে আগাম বাঁধ মেরামতি শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
নেপাল থেকে জল ঢুকছে বিহারে। আর তাতেই ফুলেফেঁপে উঠছে কোশী, গণ্ডকের মতো নদীগুলি। বর্ষা পুরো মাত্রায় এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতায় বন্যা মোকাবিলায় এখন থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে বিহারে। রাজ্যের জল সম্পদ বিভাগ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৪০টি জায়গাকে চিহ্নিত করে বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ করা হয়েছে।
বিহারে ৩৮টি জেলার মধ্যে ২৮টিই বন্যাপ্রবণ। তাই জুনের মাঝামাঝি থেকে তিন মাসের জন্য এই জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি থাকে। গঙ্গা ছাড়াও বিহারে নদী, শাখা নদীর সংখ্যা কম নয়। বর্ষায় সেই নদীগুলিতে ঘটে জলস্ফীতি। এ ছাড়া নেপালে পাহাড়ি নদীগুলিতে ঢল নামলে ফি বছর সেই জলও ঢোকে বিহারে। তার পরিমাণ ৩ থেকে ৪ লক্ষ কিউসেক। সব মিলিয়ে ২৮টি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রতি বছর থেকেই যায়। নেপালের জল বিহারে ঢুকে যে বিপত্তি ঘটায় সে ব্যাপারে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিতও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নেপাল সরকারের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
বিহারের জল সম্পদ দফতরের অধিকর্তা (বন্যা) জওহরলাল বলেন, “প্রতিদিন নেপালে কতটা বৃষ্টি হল তা আমরা নজরে রাখি। দৈনিক বৃষ্টির পরিমাণ জেনে তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয় জেলাগুলিকে।” তবে এই দফতরের অধিকর্তাদের অভিমত, নেপালে জল আটকানোর উপযুক্ত পরিকাঠামো এখনও নেই। ফলে নেপাল থেকে নেমে আসা জলে উপছে ওঠে বিহারে নদীখাতগুলি। এটাই ফি বছর মাথা ব্যাথার কারণ বিহার সরকারের।
জওহরলাল জানান, চলতি মরসুমে এখনও রাজ্যে বর্ষা তেমন ভাবে শুরু হয়নি। কোনও নদী বিপদসীমাও অতিক্রম করেনি। তবে জল সম্পদ দফতরের কর্মীরা নদীগুলির উপর নিয়ত নজরদারি চালিয়ে সদরে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন। নজরদারিতে নদী বাঁধগুলির কোনও সমস্যা চোখে পড়লে সেগুলি হলে দ্রুত মেরামতির চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৪০টি এ রকম জায়গাকে চিহ্নিত করে সেগুলি মেরামত করা হয়েছে। কোশী, গণ্ডক, বাগমতী, কমলা, বুড়িগণ্ডকের মতো নদীগুলিতেই বন্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ইতিমধ্যে নদীর পাড় ভাঙা ঠেকাতে ৩৬০টি জায়গায় মেরামতির কাজ হয়েছে। এ জন্য রাজ্য সরকার ৬৬১টি কোটি টাকা খরচ করেছে। পাশাপাশি, প্রতিটি বিপদসঙ্কুল জায়গায় বন্যা ঠেকানোর সরঞ্জাম মজুত রাখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|