|
|
|
|
খানাখন্দে ভরা রাস্তায় দেদার চলছে বালির লরি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
রাস্তা জুড়ে খানাখন্দ। তবুও চলছে বালি বোঝাই লরি। ফলে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও লেগেই রয়েছে। এমন দশা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে বেরিয়ে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে শিবপুর যাওয়ার রাস্তার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য শীঘ্র ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর দু’য়েক দীর্ঘদিনের পুরনো এই রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু কয়েক মাস ধরে রাস্তাটির অবস্থা বেহাল। সাময়িকভাবে সারানো হলেও তা বেশি দিন টেকে না। তাঁদের দাবি, লরির ভার ও বালি চুঁইয়ে পড়া জলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পিচের রাস্তা। |
|
মুচিপাড়া থেকে শিবপুরের রাস্তা। ছবি: বিশ্বনাথ মশান। |
ওই এলাকায় বিভিন্ন কলেজ, শিল্প কারখানা গড়ে ওঠায় নতুন নতুন বসতি তৈরি হয়েছে। আগের থেকে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে বেরিয়ে রাস্তাটি বামুনাড়া, মলানদিঘী হয়ে শিবপুরে অজয়ের ঘাট পর্যন্ত গিয়েছে। দুর্গাপুরের আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম ও কাঁকসার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজন বিভিন্ন প্রয়োজনে দুর্গাপুরে আসতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। স্টেশনে যাওয়ার রাস্তাও এটা। আবার ইলামবাজার, সিউড়ি, বা বোলপুর যেতেপানাগড়ে জাতীয় সড়কের ভয়াবহ যানজটের হাত থেকে রেহাই পেতেও অনেকেই এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এছাড়া সারাদিন শ’য়ে শ’য়ে লরি অজয় থেকে বালি বোঝাই করে এই রাস্তা দিয়ে জাতীয় সড়কে ওঠে।
স্থানীয় মানুষজন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে রীতিমত আতঙ্কে ভুগছেন। তাঁদের দাবি, বর্ষায় রাস্তার হাল আরও খারাপ হচ্ছে। গাড়ি চালাতে ভয় পাচ্ছেন লরি চালক থেকে বাইক আরোহী সবাই। প্রতিদিনই প্রচুর শ্রমিক এই রাস্তা দিয়ে সাইকেলে চড়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন কারখানায় কাজ করতে যান। তাঁরা জানান, রাস্তার গর্তে পড়ে তাঁদের হাত-পা ভাঙে। এমনকি সাইকেলেরও বিভিন্ন ক্ষতি হয়। রাতে কম আলোতে দুর্ঘটনা আরও বাড়ে বলেও জানান তাঁরা। বিশেষত, বামুনাড়া বাস্ট্যান্ডের কাছে রাস্তা বলে প্রায় কিছুই নেই। গোটাটাই ভেঙে গিয়েছে। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান, এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাবেন। |
|
|
|
|
|