সুটিয়া গণধর্ষণ মামলার অন্যতম সাক্ষী বরুণ বিশ্বাসকে খুনের অভিযোগে ধৃত ৪ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিল সিআইডি। গত শনিবার বারাসতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ওই খুনের ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। সেই মতো বৃহস্পতিবার সিআইডি-র একটি দল বনগাঁ জিআরপি থানায় আসে। সেখান থেকে ধৃত দেবাশিস সরকার, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, রাজু সর্দার ও শুভঙ্কর বিশ্বাসকে নিয়ে যাওয়া হয় ভবানীভবনে।
একাদশ শ্রেণির যে নাবালক ছাত্রকে বরুণ-হত্যায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ধরেছে, তাকে এ দিন হাজির করানো হয় সল্টলেকে জুভেনাইল আদালতে। কিন্তু, আইনজীবীদের কর্মবিরতির জেরে ছেলেটির তরফে কেউ সওয়াল করেননি। বিচারক তাকে ১৪ দিনের জন্য ধ্রুবাশ্রমে ‘নিরাপদ হেফাজতে’ রাখার নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে ছেলেটিকে জেরা করার অনুমতি পেয়েছে সিআইডি। |
তবে বিচারক জানান, ধ্রুবাশ্রমের সুপারের উপস্থিতিতেই জেরা করা যাবে তাকে। আগামী ২৬ জুলাই তাকে ফের তোলা হবে আদালতে।
গত ৫ জুলাই সন্ধ্যায় গোবরডাঙা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বরুণবাবু। সুটিয়ায় ২০০০ সাল নাগাদ পরপর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। তাতে ৬ জনের যাবজ্জীবন হয়। মামলায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন বরুণবাবু। সেই ‘আক্রোশেই’ তাঁকে খুন হতে হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী জেলে বসেই খুনের ছক কষেছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
সুটিয়া গণধর্ষণ-কাণ্ডের পরে ‘প্রতিবাদী মঞ্চ’ গড়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন স্থানীয় মানুষ। এ দিন মঞ্চের তরফে একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) মিহির ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করে। কলকাতার মিত্র ইন্সটিটিউশনের (মেন) শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসকে খুনের
প্রতিবাদে এবং দোষীদের ‘কঠোর শাস্তি’র দাবিতে গোবরডাঙার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা এ দিন এলাকায় ‘ধিক্কার মিছিল’ করেন। ‘প্রতিবাদ সভা’ হয় গোবরডাঙা খাঁটুরা হাইস্কুলে। ওই স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র বরুণবাবু। |