|
|
|
|
স্বামীর অপমৃত্যু, বিষ খেলেন স্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে বিষ খেয়ে নিলেন তাঁর স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার মানুয়া গ্রামে বাড়ি থেকে মৃত মানিক রানার (৩৫) দেহ উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। মানিকবাবুর স্ত্রী নমিতাদেবী কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খন্যাডিহি এলাকার মানুয়া গ্রামের বাসিন্দা মানিকের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল কাছেই সজিনাগাছি গ্রামের নমিতার। দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে। মানিক আগে মুম্বইয়ে সোনার কাজ করতেন। বছরখানেক আগে সেখানে একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। সোনার কাজ ছেড়ে কোলাঘাটে হোসিয়ারি কারখানায় কাজ নেন তিনি। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় মাথায় যে আঘাত লেগেছিল, তার জেরে মাঝেমধ্যেই খিঁচুনি হত তাঁর। চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল আগেই। টাকার অভাবেই মাথায় অপারেশন করাতে পারছিলেন না মানিক। আর্থিক টানাটানির জেরে পরিবারে অশান্তি শুরু হয়।
দম্পতির বছর ছয়েকের বড় ছেলে মামাবাড়িতে থাকত। বুধবার রাতে বছর তিনেকের ছোট ছেলেকে নিয়ে মানিক আর নমিতা দোতলার ঘরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। এ দিন সকালে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে মানিকের বাবা দোতলায় গিয়ে দেখেন মেঝেয় পড়ে রয়েছে ছেলের মৃতদেহ। পাশে কাঁদছে নাতি, বৌমা নেই কোথাও। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা জড়ো হন ও পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে অবশ্য জানা যায়নি। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। মেঝেতে আঁচড়ের দাগ থাকায় খিঁচুনি থেকে মৃত্যুর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। মানিকের বাড়ির লোকেরা থানায় অভিযোগ দায়ের না করলেও রহস্যজনক ভাবে এই মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এ দিকে, খোঁজ নিয়ে জানা যায় নমিতা ভোরবেলায় পাশের গ্রামে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। সেখানে ওই অবস্থায় স্বামীকে ফেলে চলে আসার জন্য বাপের বাড়ির লোকেরা বকাবকি করায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নমিতা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। |
|
|
|
|
|