|
|
|
|
ট্রাক ছিনতাইয়ের চেষ্টায় গণ-পিটুনি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ট্রাক ছিনতাই করতে এসে জুটল জনতার পিটুনি। গ্রেফতার হলেন তিন যুবক। ঘটনাটি হলদিয়ার চিরঞ্জীবপুরের। অভিযোগ, বিদ্যাসাগর মোড়ে বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাক ছিনতাই করতে জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয় শেখ রাজু, শেখ রেজাবুল ও নদিয়ার বাসিন্দা হারাধন বসাক-সহ কয়েক জন দুষ্কৃতী। ট্রাক চালিয়ে পালাতে গেলে স্থানীয়দের হাতেই তারা ধরা পড়েন। তিন জনকে ধরেই শুরু হয় পিটুনি। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় তাদের হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। শিল্পশহরে বার বার এ ধরনের ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রাক-মালিক সংগঠন।
কলে-কারখানায় ভরা শিল্পশহর হওয়ায় হলদিয়ায় ট্রাক-ট্যাঙ্কারের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ধরনের ট্রাক ‘হাইজ্যাকে’র ঘটনা। গত এপ্রিলেই হলদিয়া থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও হওয়া একটি ট্যাঙ্কারের চালকের দেহ পরে উদ্ধার হয়েছিল হাওড়ায়। এ ছাড়াও দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের যন্ত্রাংশ লুঠপাট লেগেই রয়েছে। হলদিয়া প্রগ্রেসিভ লরি-ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উৎপল জানা বলেন, “প্রতি মাসেই এক থেকে দু’টি হাইজ্যাকের ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে এর প্রতিকার চাই। বাড়তে থাকা এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলা করতে মাস তিনেক আগে সুতাহাটার সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে সমস্ত ট্রাক-লরি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল পুলিশ-প্রশাসন। কিন্তু সমস্যা থেকে গিয়েছে সেই তিমিরেই। পুলিশের বক্তব্য, বাইরের কিছু দুষ্কৃতী স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে এই কারবার চালাচ্ছে। ট্রাক হাইজ্যাক করে ভাঙা-দরে বিক্রি করা হচ্ছে যন্ত্রাংশ। এ দিনও ভোররাতে বিদ্যাসাগর মোড়ের কাছে একটি খালি ট্রাক সামান্য খারাপ হওয়ায় দাঁড়িয়ে যায়। ড্রাইভার ও খালাসি একটি দোকানে বিশ্রাম নিতে ঢুকলে ট্রাক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু ট্রাকটি খারাপ থাকায় স্টার্ট করতে সমস্যা হয়। সে সময়েই ছিনতাইবাজরা ধরা পড়ে যায়। তার মধ্যেই অবশ্য ওই ট্রাকের ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ চুরি যায় বলে অভিযোগ। ট্রাকটির মালিক দিব্যেন্দু দাসের অভিযোগ, “দিনে দিনে সমস্যা বাড়ছে।” হলদিয়ার এসডিপিও অমিতাভ মাইতি-র অবশ্য দাবি, “এ ধরনের ঘটনা অনেক কমিয়ে আনা গিয়েছে। চেক-পোস্ট তৈরি করেও পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলছে।” |
|
|
|
|
|