বিজেপি নেতৃত্বের কোন্দলের জেরে দলের কোনও শীর্ষ নেতাই আজ কর্নাটকে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথে গেলেন না।
সদানন্দ গৌড়ার ইস্তফার পর আজ জগদীশ সেত্তার কর্নাটকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। ইয়েদুরাপ্পা, গৌড়াকে পাশে বসিয়ে ‘ঐক্যে’র চেহারাটিও দেখাতে চাইলেন। রাজ্যে জাতের সমীকরণকে মাথায় রেখে এই প্রথম দু’জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দিল্লি থেকে লালকৃষ্ণ আডবাণী, নিতিন গডকড়ী, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংহের মতো দলের কোনও শীর্ষ নেতাই সেখানে থাকলেন না। শুধু কর্নাটকের সাংসদ অনন্ত কুমার সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন। |
কেন? বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, গত চার বছরে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী বদল হচ্ছে কর্নাটকে। এটি কোনও উৎসবের মুহূর্ত নয়। যে ভাবে ইয়েদুরাপ্পার চাপের কাছে নিতিন গডকড়ীরা মাথা নোয়াতে বাধ্য হলেন, সেটি মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না আডবাণী, সুষমার মতো নেতারা। গোড়া থেকেই তাঁরা ইয়েদুরাপ্পার বিরোধী। গডকড়ীর অনুরোধে অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংহরা বেঙ্গালুরুতে গিয়ে কর্নাটকের চলতি সঙ্কট সামলেছেন, কিন্তু আজ তাঁরাও যাননি। পারিবারিক কারণে জেটলি দু’দিন আগেই দিল্লি ফিরে এসেছেন। আর রাজনাথ শপথ গ্রহণের একদিন আগেই গত রাতে দিল্লি ফেরেন। দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে কর্নাটক নিয়ে মতবিরোধ দেখে গডকড়ীও আর আজ সেই অনুষ্ঠানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দলের মুখপাত্র নির্মলা সীতারামন অবশ্য বলেন, “কর্নাটকের সঙ্কটের জন্য দলের নেতারা অনেকটা সময় দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পর্বের মধ্যে এখন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁদের এখন অনেক কাজ রয়েছে।”
বিজেপি নেতৃত্ব জানেন, কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বদল হলেই যাবতীয় সঙ্কট নিরসন হবে না। এখনও রাজ্য সভাপতি স্থির করা সম্ভব হয়নি। সদানন্দ গৌড়ারা এখন সেই পদের দিকে তাকিয়ে। ফলে ঢাকঢোল পিটিয়ে শপথে হাজির থেকে বাকি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরাগভাজন হয়ে লাভ নেই! |