|
|
|
|
টানা দু’-তিন দিন সর্বভারতীয় ধর্মঘট ডাকার পক্ষে সিটু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরে কেন্দ্রীয় সরকার আরও বেশি করে সংস্কার ও উদারনীতির পথে হাঁটবে বলে মনে করেন সিটুর রাজ্য সভাপতি সাংসদ শ্যামল চক্রবর্তী। এর প্রতিবাদে আগামী দিনে সর্বভারতীয় ভাবে টানা দুই বা তিন দিনের ধর্মঘট ডাকতে পারে সিটু-সহ বিভিন্ন সংগঠন। সিটুর রাজ্য কাউন্সিলের বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার শ্যামলবাবু এ কথা জানান।
শ্যামলবাবু বলেন, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরে কেন্দ্রীয় সরকার আরও ভর্তুকি প্রত্যাহার করে পথে যাবে। ফলে সাধারণ মানুষের উপরে চাপ আরও বাড়বে। এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন মিলিত ভাবে দেশ জুড়ে দুই-তিন দিন ধর্মঘট ডাকতে পারে।” এর আগে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এক হয়ে সর্বভারতীয় ভাবে এক দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাতে যে বিশেষ কাজ হয়নি তা স্বীকার করে শ্যামলবাবু বলেন, “পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতে ৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে সমস্ত কর্মচারী সংগঠন মিলিত ভাবে কনভেনশনের ডাক দিয়েছে।” সিটু নেতৃত্বের ধারণা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরেই ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাস সব কিছুর দাম বাড়বে। রাজ্য সরকার পরিবহণ সংস্থার কর্মীদের পেনশন ও মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে না। এর বিরুদ্ধে সিটু আন্দোলনে নামবে বলে শ্যামলবাবু জানান। তিনি অভিযোগ করেন, “রানিগঞ্জ এলাকায় খোলা মুখ খাদান থেকে সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কয়লা লুঠ হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ ও আদিবাসীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ফল হচ্ছে না। রাজ্যের এক মন্ত্রীও ওই বেআইনি কয়লা খাদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।”
২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে পরে রাজ্যে সিটুর সদস্য সংখ্যা ১৭ লক্ষ থেকে কমে দাঁড়ায় ১৩ লক্ষে। এখন সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে বলে শ্যামলবাবুর দাবি। তিনি বলেন, “ভয়ে এখনও অনেকে প্রকাশ্যে সিটুর সভ্য হচ্ছেন না। কিন্তু মানসিক ভাবে তাঁরা আমাদের পক্ষে।” এ দিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এ দিন কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের ডাকে ২০টি স্থানে পথসভা করা হয়। সিপিএম নেতা রবীন দেব জানান, সাধারণ মানুষ যথেষ্ট আগ্রহ নিয়ে সভায় যোগ দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|