নির্দিষ্ট বিধিনিয়ম না-মেনে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি বিএড কলেজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আর তার মাসুল দিতে হচ্ছে সেখানকার ৫২ জন পরীক্ষার্থীকে।
ওই পড়ুয়াদের ফলপ্রকাশ আটকে দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁদের ফলাফল ‘অসম্পূর্ণ’ আছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে।
এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি বছরের বিএড পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, এ বার পাশের হার ৯৬.৭৪ শতাংশ। প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯০.৫২ শতাংশ পরীক্ষার্থী। তিনি বলেন, “পরীক্ষার ২৯ দিনের মধ্যে বিএডের ফল প্রকাশ করা হল। পাশের হার এবং প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণের সংখ্যার নিরিখে গত বারের তুলনায় ফল ভাল।”
সেই সঙ্গেই উপাচার্য জানান, একটি বেসরকারি কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কিছু ‘পদ্ধতিগত বিচ্যুতি’র অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কোনও শিক্ষক ছাড়াই ওই কলেজের ৫২ জন ছাত্রছাত্রীর একটি প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট দেওয়ার জন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে বলে জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, “পরীক্ষায় পদ্ধতিগত ত্রুটি হলে তো পরীক্ষার্থীদের কিছু করার থাকে না। এ ক্ষেত্রেও পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও ক্ষতি না-হয়, সেটা দেখা হবে।”
আবার রেজিস্ট্রেশনে গোলমাল থাকায় ২৯৪ জন পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করা হয়নি বলেও জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, “মার্কশিট না-পেলেও ওই পড়ুয়ারা ওয়েবসাইটে নিজেদের নম্বর দেখতে পারবেন।”
এ বছর থেকেই পার্ট থ্রি-তে বিভিন্ন বিষয়ের উত্তরপত্র দেখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। উপাচার্য জানান, বিএড পরীক্ষার উত্তরপত্রও দেখার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা। তার জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন জানাতে হবে। |