আগাম লেনদেন নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার দিনেই পেনশন ক্ষেত্রে সংস্কারের পথে আর এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। কিছুটা শিথিল করা হল জাতীয় পেনশন প্রকল্পে (ন্যাশনাল পেনশন স্কিম) তহবিল পরিচালনার জন্য নথিবদ্ধ হওয়ার শর্ত। নয়া নির্দেশিকায় তহবিল পরিচালনার সুযোগ খুলে দেওয়া হয়েছে আরও অনেক বেশি সংস্থার সামনে। জানানো হয়েছে, এর জন্য আর যোগ দিতে হবে না নিলামেও। পাশাপাশি, নিজেদের পারিশ্রমিক (ফি) নির্ধারণের স্বাধীনতা অনেকাংশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার হাতেই।
জি এন বাজপেয়ী কমিটির সুপারিশ মেনে বৃহস্পতিবারই এই শর্ত শিথিলের কথা ঘোষণা করেছে পেনশন ফান্ড নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএ। তারা জানিয়েছে, এখন তহবিল পরিচালনার কাজে অংশ গ্রহণ করতে পারবে আরও বেশি সংস্থা। কারণ, আগে ওই কাজের জন্য সুযোগ পাওয়া সংস্থার সংখ্যা নির্দিষ্ট ছিল। এবং ওই সুযোগ পেতে হত নিলামে দর হাঁকার মাধ্যমে। কিন্তু এখন আর সেই বাধ্যবাধকতা থাকবে না। বরং নিয়ন্ত্রকের বেঁধে দেওয়া যোগ্যতার মাপকাঠি পেরোলেই তহবিল পরিচালনার ব্যবসায় নামতে পারবে আগ্রহী সংস্থা।
শুধু তা-ই নয়। আগে এই তহবিল পরিচালনার জন্য একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থই (ফি) নিতে পারত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। এ বার সেই বাধ্যবাধকতাও সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে পেনশন নিয়ন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, এখন থেকে নিজেদের ফি-এর অঙ্ক নিজেরাই ঠিক করতে পারবে সংস্থাগুলি। তবে এর সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেবে কেন্দ্র।
২০০৯ সালের মে মাসে জাতীয় পেনশন প্রকল্প চালু করে কেন্দ্র। বর্তমানে এই তহবিল পরিচালনার কাজে যুক্ত রয়েছে এলআইসি, এসবিআই, আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়াল, রিলায়্যান্স ক্যাপিটাল-সহ ৭টি সংস্থা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কারণে ওই প্রকল্প তেমন ভাবে সফল হয়নি বলেই মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল। নয়া নির্দেশিকায় তহবিল পরিচালনায় হাত দেওয়া সংস্থার সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনই নিজেদের পারিশ্রমিক ঠিক করতে পারার দরুন বাড়বে তাদের দক্ষতা। এই দু’য়ের হাত ধরে এই ক্ষেত্রের প্রতিযোগিতা বাড়বে দ্রুত। তাতে আখেরে প্রকল্পে টাকা রাখা সাধারণ মানুষই লাভবান হবেন বলে মনে করছেন অনেকে। |