মন্দের ভাল। মে মাসে ২.৪ শতাংশ শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হারকে এই তকমাই দিয়েছে শিল্প ও ব্যাঙ্কিং মহল। তবে পশ্চিমী দুনিয়ায় মন্দা ছায়া ফেলেছে ভারতীয় রফতানির উপর। এপ্রিল থেকে জুনে তা ২ শতাংশের মতো কমবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা।
বৃদ্ধি তো দূরের কথা আগের দু’মাসে সরাসরি কমে গিয়েছিল শিল্পোৎপাদন। মার্চে কমেছিল ৩.২%, এপ্রিলে ০.৯%। ফলে ফেব্রুয়ারির (৪.৩%) পর থেকে এটাই শিল্প বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার।
যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়াও আজ শিল্প বৃদ্ধির এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর বলেছেন, “খারাপ খবরের পর আবারও যে খারাপ খবর আসেনি, সেটাই ভাল খবর। ২.৪% উৎপাদন বাড়াটা দুর্বলতার লক্ষণ হলেও আগের মাসের তুলনায় ভাল। যদিও এত কম হার মেনে নেওয়া যায় না। আশা করি অক্টোবরের মধ্যে বলতে পারব, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।” উল্লেখ্য, গত বছর একই সময়ে এই হার ছিল ৬.২%। তবে রয়টার্স এক সমীক্ষায় যে মে মাসের শিল্প বৃদ্ধির হার ১.৮% বাড়বে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল, বাস্তবে এই ২.৪% বৃদ্ধি তাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। |
প্রসঙ্গত, এপ্রিলে ০.১% বৃদ্ধির হারের হিসেব সংশোধন করার পর জানা গিয়েছে, ওই মাসেও উৎপাদন কমেছে ০.৯%। তার পর এ বার সামান্য হলেও উৎপাদন বাড়ার খবরে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে সরকার ও শিল্পমহল। তবে এর জেরে আগামী ৩১ জুলাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতির পর্যালোচনায় সুদ কমানোর পথে হাঁটবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে সকলেই। অর্থনীতিবিদদের ইঙ্গিত, শীর্ষ ব্যাঙ্ক এ বারও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পারে। অ্যাসোচ্যাম-এর প্রেসিডেন্ট রাজকুমার ধুত অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সুদ ধরে রাখার নীতি থেকে সরে আসার আর্জি জানিয়েছেন। সরকারও একই আর্জি জানাবে বলে মন্তব্য করেছেন আনন্দ শর্মা।
মে মাসে যন্ত্রপাতি ইত্যাদি মূলধনী পণ্যের উৎপাদন কমেছে ৭.৭%। আগের বছর বেড়েছিল ৬.২%। সাধারণ ভাবে কারখানার উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ২.৫%, আগের বছর ছিল ৬.৩%। শিল্প বৃদ্ধির হার হিসেব করার ক্ষেত্রে ৭৫% গুরুত্বই পায় কারখানার উৎপাদন। এ দিকে, খননেও উৎপাদন কমেছে ০.৯%। আগের বছরের বৃদ্ধি ১.৮%। শিল্পে লগ্নি কমার জেরেই এ বার কারখানার উৎপাদন কমেছে বলে জানান মন্টেক। তাঁর মতে, পরিকাঠামোয় লগ্নি বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করেই শিল্পে লগ্নি টানায় জোর দেবে কেন্দ্র। যা শিল্প বৃদ্ধির হারকে টেনে তুলবে। |