সোনার দামের সঙ্গে তাল রেখে সঞ্চয়পত্র আনতে পারে আরবিআই |
সোনা আমদানির বহর নিয়ে উদ্বিগ্ন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কারণ বৈদেশিক বাণিজ্যে পণ্য লেনদেন খাতে ঘাটতি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে সোনা আমদানির যথেষ্ট অবদান আছে বলে বৃহস্পতিবার শহরে মন্তব্য করেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর আনন্দ সিংহ। বিকল্প হিসেবে এমন লগ্নির মাধ্যম চালু করার কথা ভাবছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, যা সোনার মতোই আয় বাড়ানোর পথ করে দেবে। অর্থাৎ, সোনার দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওঠা-পড়া করবে ওই সঞ্চয়পত্রের দর। কাজে লাগানো যাবে ভারতীয়দের হাতে থাকা স্বর্ণসম্পদও। জানুয়ারি-মার্চে বৈদেশিক বাণিজ্যে পণ্য লেনদেন খাতে ঘাটতি ছুঁয়েছে জাতীয় আয়ের ৪.৫% (২,১৭০ কোটি ডলার)। যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সোনা আমদানির খরচই এর অন্যতম কারণ বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আরবিআই। আসলে অর্থনীতির ডামাডোলে শেয়ার সূচক ইত্যাদি পড়তে থাকলে নিরাপদ লগ্নির মাধ্যম হিসেবে সোনাকেই বেছে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে ভারতেও সোনা আমদানি বাড়ছে দ্রুত। ইন্ডিয়ান চেম্বার-এর সভায় এ দিন সিংহ বলেন, আমদানি ছাড়া মানুষের হাতে থাকা সোনার সম্পদকে কাজে লাগানো জরুরি। তাই শীর্ষ ব্যাঙ্ক একটি কমিটি গড়েছে, যারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ দিকে, নতুন ব্যাঙ্কিং লাইসেন্স আইনের খসড়া ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিল পাশ হলে খসড়া চূড়ান্ত হবে। খসড়ায় রয়েছে, আপাতত বিদেশি ব্যাঙ্কের হাতে ৪৯ শতাংশের বেশি মালিকানা দেওয়া হবে না।
|
আশা মেটাল না ইনফোসিস, সূচক পড়ল ২৫৭ |
শেয়ার বাজারের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল না ইনফোসিস। আর, তার জেরেই বৃহস্পতিবার প্রায় সাত সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে নীচে নেমে গেল সেনসেক্স। মুম্বই বাজারের সূচক এ দিন এক ধাক্কায় পড়ে যায় ২৫৭ পয়েন্ট। এবং থামে ১৭,২৩২.৫৫ পয়েন্টে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ইনফোসিসের শেয়ার দরই পড়েছে ৮%। তবে সাধারণ ভাবে তথ্যপ্রযুক্তির সংস্থাগুলির দর এ দিন নিম্নমুখীই ছিল। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে এই শিল্পের সূচক এ দিন নেমে গিয়েছে ৫.১১%। ইনফোসিসের আয় প্রায় ২৮.৫% বেড়ে হয়েছে ৯,৬১৬ কোটি টাকা। আর মুনাফা ৩৩% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,২৮৯ কোটিতে। তবে ডলারের হিসেবে সংস্থার আয় চলতি অর্থবর্ষে ৫% বেড়ে ৭৩৪ কোটি ডলার ছোঁবে বলে যে পূর্বাভাস এ দিন দিয়েছে ইনফোসিস, তাতেই হতাশ শেয়ার বাজার মহল। কারণ, এর আগে এপ্রিলে দেওয়া এক হিসেবে ওই আয় ৮ থেকে ১০% বাড়ার ইঙ্গিত দেয় সংস্থা। বাজারের আশা ছিল, পূর্বাভাস বাড়াবে সংস্থা। বিশেষ করে টাকার দাম কিছু দিন যাবৎ পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে রফতানি খাতে আয় বাড়বে সংস্থার। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় হু হু করে পড়তে থাকে তথ্যপ্রযুক্তি শেয়ারের দর, যা নামায় সেনসেক্সকে। তবে টিসিএসের মুনাফা ৩৭.৮% বেড়ে হয়েছে ৩,২৮১ কোটি টাকা। আয় ৩৭.৭% বেড়ে হয়েছে ১৪,৮৬৯ কোটি টাকা। যা প্রত্যাশার তুলনায় অনেকটাই বেশি, দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। কিন্তু তার প্রভাব পড়েনি সূচকের উপর। শিল্প বৃদ্ধির হার বাড়ার খবরও ছাপ ফেলেনি বাজারে।
|
বৈদ্যুতিন শিল্পে উৎসাহ প্রকল্পে সায় কেন্দ্রের |
দেশের বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদনকারীদের জন্য বিশেষ উৎসাহ প্রকল্পে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। দেশের মাটিতে ওই ধরনের পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে প্রকল্পটির আওতায় আগামী পাঁচ বছরে (দ্বাদশ যোজনা ১৯১২-১৭) ১০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ জোগাবে কেন্দ্র। সরকার নির্ধারিত তালিকা (ইলেকট্রনিক সিস্টেম ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং) অনুযায়ী যার সুবিধা নিতে পারবে টেলিকম, তথ্যপ্রযুক্তি হার্ডওয়্যার, বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্য, চিকিৎসা ও শিল্প সংক্রান্ত বৈদ্যুতিন পণ্য, সোলার ফোটো-ভোলটিক, এলইডি, এলসিডি, সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ন্যানো ইলেকট্রনিক্স-সহ ২৯টি শাখার বৈদ্যুতিন পণ্য। এক বিবৃতিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রকল্প মাফিক বিশেষ আর্থিক অঞ্চলে (সেজ) মূলধনী খাতে লগ্নির সর্বোচ্চ ২০% এবং ওই অঞ্চলের বাইরে লগ্নির ২৫% ভর্তুকি দেবে সরকার। সে ক্ষেত্রে প্রকল্পে সায় পাওয়ার দিন থেকে শুরু করে ১০ বছর পর্যন্ত ওই আর্থিক সাহায্য মিলবে। সুবিধার জন্য আবেদন করতে হবে তিন বছরের মধ্যে। কেন্দ্রের আশা, তাদের এই নীতি বৈদ্যুতিন পণ্যের উৎপাদন ও নক্শা তৈরির কাজে গতি আনবে। ৫ লক্ষ কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।
|
পেট্রোল ধর্মঘটে জেরবার মণিপুর |
তিন দিন ব্যাপী পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের জেরে নাজেহাল মণিপুর। ৯ জুলাই রাতে পূর্ব ইম্ফলের দু’টি পেট্রোল পাম্পে জঙ্গিরা আগুন লাগিয়ে দেয়। তার প্রতিবাদে ১০ জুলাই থেকে রাজ্যে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিকরা। কালোবাজারে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় মিলছে এক লিটার পেট্রোল। ডিজেলের দাম পৌঁছেছে লিটারপ্রতি ৮০ টাকায়। রাস্তায় অটো কম সংখ্যায় চলছে। ভাড়া আকাশছোঁয়া। ফলে সরকারি দফতরেও হাজিরা প্রায় অর্ধেক। পাম্প মালিকদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার পাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে ধর্মঘট উঠবে। পরিবহণ সংগঠনগুলি জানিয়েছে, আগামী কালের মধ্যে ধর্মঘট না উঠলে যানবাহন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। |