বর্ধমানের মেমারির একটি আবাসিক স্কুলের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে স্কুলেরই এক ছাত্রের দেহ। আবু সালেম (১০) নামে পঞ্চম শ্রেনীর ওই ছাত্রের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার গঙ্গাপুরে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ আবুর মৃত্যুকে নিছকই আত্মহত্যা বলে জানালেও ওই ছাত্রের পারিবারিক সূত্রে দাবি, বছর দশেকের ছেলেটিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশও তেমনই মনে করছে। এসডিপিও বর্ধমান (দক্ষিন) অম্লানকুসুম ঘোষ বুধবার বিকেলে ঘটনার খবর পেয়েই ওই স্কুলে গিয়েছিলেন। স্পষ্ট করে না বললেও তিনি জানান, ঘটনার মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি বলেন, “নিশ্চিত ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলা যাচ্ছে না।”
মাস ছয়েক আগে বেলডাঙার মহুলা পঞ্চায়েতের গঙ্গাপুর থেকে আবু সালেম মেমারির মামুন ন্যাশনাল মিশন নামে ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। ভর্তির দিন কয়েক পর থেকেই স্কুলের কিছু বড় ছেলে তাকে ‘বিরক্ত’ করত বলে বাড়িতে জানিয়ে ছিল সে। ওই ছাত্রের বাবা শেখ আবু সমাদ বিশ্বাস এ দিন জানান, ব্যাপারটা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক মহম্মদ ইয়াসিনের বিরুদ্ধে মেমারি থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।
সামাদ বলেন, “ঘটনাটি হয়েছে বিকেলে, অথচ আমরা খবর পেলাম রাত আটটার পরে। আমাদের জানানো হয়েছিল ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে ছেলে। গিয়ে দেখলাম হাসপাতালে পড়ে রয়েছে তার লাশ।” তিনি জানান, ছেলের পরনে যে অন্তর্বাস ছিল কিংবা যে গামছা দিয়ে সে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেটি কোনও মতেই তাঁর ছেলের নয়।
মহম্মদ ইয়াসিন অবশ্য বলেন, “আমাদের অনুমান ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশের তদন্তেই আসল ঘটনা জানা যাবে।”
কিন্তু শৌচাগারের যে পাইপ থেকে আবুর দেহটি ঝুলছিল, সেই উচ্চতায় বছর দশেকের ছেলেটি উঠল কী করে, শৌচাগারের উঁচু ছিটকিনিতেই বা তার হাতই পৌঁছল কী করে তা নিয়ে পরিজনদের প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। |