|
|
|
|
|
|
দাবি গবেষকের |
ক্যানসারের নয়া চিকিৎসা |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সোরিনাম থেরাপির সাহায্যে ক্যানসার চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সাড়া মিলছে বলে দাবি করলেন কলকাতার এক গবেষক। অরোদীপ চট্টোপাধ্যায় নামে ওই গবেষকের দাবি, নতুন ওই পদ্ধতিতে ফুসফুস, খাদ্যনালী, যকৃৎ, অন্ত্র প্রভৃতির ক্যানসারের চিকিৎসায় ভাল সাড়া মিলছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা জয়দীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “বিজ্ঞান বিজ্ঞানের পথে চলবে। একটি নিরপেক্ষ কমিটি তৈরি করে এই গবেষণা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তার পরে তারা বিষয়টি কার্যকরী মনে করলে এ নিয়ে এগনো যায় কি না ভাবা হবে।”
অরোদীপের দাবি, ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলিকে মারার পাশাপাশি সোরিনাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তোলে। সোরিনাম মূলত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। সেই সোরিনামকেই ক্যানসারের এই বিকল্প চিকিৎসার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
নয়া এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে কলকাতার ক্যানসার চিকিৎসকদের একটা অংশ অবশ্য দ্বিধায় রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, অরোদীপ যে রোগীদের সেরে ওঠার কাহিনি শুনিয়েছেন, তাঁদের সকলেই সোরিনাম থেরাপির পাশাপাশি ক্যানসারের প্রথাগত চিকিৎসা অর্থাৎ কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপিও করেছেন। সুতরাং রোগমুক্তির মূল কারণ কোনটি, সে সম্পর্কে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
লেকটাউনে ক্রিটিক্যাল ক্যানসার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার গড়ে তুলেছেন অরোদীপের বাবা, ক্যানসার চিকিৎসক অসীম চট্টোপাধ্যায়। অন্তিম পর্যায়ের ক্যানসার রোগীদের উপশম-চিকিৎসার ক্ষেত্রে অসীমবাবুর ভূমিকা খুবই উল্লেখযোগ্য বলে শহরের ক্যানসার চিকিৎসকদের একটা বড় অংশই মানেন। অসীমবাবুর বক্তব্য, অন্তিম পর্যায়ে, যখন বাড়ির লোকেরাও বহু ক্ষেত্রে ক্যানসার রোগীদের রাখতে চান না, ঠাঁই হয় না হাসপাতালেও, তখন রোগ যন্ত্রণার উপশম-চিকিৎসার ভূমিকা খুবই উল্লেখযোগ্য।
|
|
|
|
|
|